পোস্টার লাগানোকে কেন্দ্র করে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী নির্বাচনী ক্যাম্প ভাংচুর
মো নাহিদুর রহমান শামীম মানিকগঞ্জ জেলা প্রতিদিন
মানিকগঞ্জের শিবালয়ে পোস্টার লাগানোকে কেন্দ্র করে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুর রহিম খানের নির্বাচনী ক্যাম্প ভাঙচুর ও তার কর্মীকে লক্ষ করে গুলি ছোড়ার ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে ।
শুক্রবার (১০মে ২০২৪) বিকেল আনুমানিক সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার আরিচা ডাক্তারখানা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন জয় ঘোষ নামের রহিম খানের এক কর্মী ।
উক্ত ঘটনার প্রতিবাদে রহিম খানের কর্মী-সমর্থকরা প্রায় তিন ঘণ্টা ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে গাছের গুড়ি ফেলে অবরোধ করে রাখে।
ভুক্তভোগী জয় ঘোষ জানান,
বিকেলে তার বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি। এসময় কয়েকটি মাইক্রোবাস এসে তার নামনে থামে। গাড়ি থেকে রহিম খানের প্রতিদ্বন্দ্বী চেয়ারম্যান প্রার্থী রেজাউর রহমান খান জানুর বড় ছেলে জেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক ফাহিম খান রনি দলবলসহ বের হন। বের হয়েই অকথ্য ভাষায় গালাগালি করতে থাকেন। একপর্যায়ে জয় ঘোষকে লক্ষ্য করে চার রাউন্ড গুলি ছোড়েন। জয় পাশের একটি বাড়িতে আশ্রয় নেন। এসময় আব্দুর রহিম খানের নির্বাচনী ক্যাম্প ভাঙচুর এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মাইশা তামান্নাকেও লাঞ্ছিত করেছেন তারা।
ঘটনার প্রতিবাদে বিকেল সাড়ে পাঁচটায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে গাছের গুড়ি ফেলে বিক্ষোভ করতে থাকেন রহিম খানের কর্মী সমর্থকরা। এতে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
খবর পেয়ে শিবালয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং শিবালয় থানার অফিসার ইনচার্জ ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিক্ষোভকারীদের রাস্তা থেকে সড়ানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হন।
পরে মানিকগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য সালাউদ্দিন মাহমুদ জাহিদ ও পুলিশ সুপার গোলাম আজাদ খান ঘটনাস্থলে গিয়ে সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে অবরোধ তুলে নেন বিক্ষোভকারীরা।
এ সময় সংসদ সদস্য সালাউদ্দিন মাহমুদ জাহিদ বলেন, সরকার নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দিতে বদ্ধপরিকর। অথচ এক শ্রেণির আওয়ামী লীগ নামধারী প্রার্থী নানান ভীতিকর অবস্থা তৈরি করে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ, ভোটে কেউ বিশৃঙ্খলা করলে ছাড় দেওয়া হবে না।
শিবালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুর রউফ সরকার গণমাধ্যমকে বলেন, ঘটনাস্থল থেকে একটি গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়েছে। ভিকটিম জয় ঘোষ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। এরপরই জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তবে গুলি ছোড়া ও অফিস ভাঙচুরের ঘটনায় অভিযুক্ত ফাহিম খান রনি বলেন, কোনো গুলি ছোড়া ও নির্বাচনী ক্যাম্প ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেনি। তবে তার পিতা রেজাউর রহমান জানুর পোস্টার ছেড়া নিয়ে কয়েকজনের সঙ্গে বাগবিতণ্ডা হয়েছে বলে জানান তিনি।