রূপগঞ্জে
বিসমিল্লাহ আড়ৎ দখলে নেওয়ার পায়তারা
মোঃআবু কাওছার মিঠু
নারায়ণগঞ্জ সংবাদদাতা ঃ
নারায়ণগঞ্জ রূপগঞ্জে
গোলাকান্দাইল এলাকার বিসমিল্লাহ আড়ৎদারদের উপর চাপ সৃষ্টি, ভয়ভীতি ও
জিম্মি করে ক্যাসিনোকান্ডের সেলিম প্রধান এবং সহযোগী সেনাবাহিনী কর্মকর্তা
অবসরপ্রাপ্ত নাজিম উদ্দিন ও তার সন্ত্রাসী কর্তৃক আড়ৎ দখলে নেওয়ার পায়তারা
করার অভিযোগ উঠেছে।
গত বেশ কয়েকদিন যাবৎ আড়ৎের ব্যবসায়ীরা ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের রূপগঞ্জের ভুলতা
গাউছিয়া এলাকায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচী পালন করে আসছেন।
বিসমিল্লাহ আড়ৎতের ব্যবস্থাপক মামুনুর রহমান, আড়ৎদার আল আমিন, মাহবুব আলম,
কাজল হোসেন, কবির হোসেন, আলমগীর,আনোয়ার, কামরুল, বাচ্চু, সাইদুল, কাইয়ুম,
আক্তার, সুজন আরো কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান,
বিসমিল্লাহ প্রধান আড়ৎ ও
জাপান-বাংলা আড়ৎের নামে আড়তদারদের কাছ থেকে অবৈধভাবে ক্যাসিনো কান্ডের
সেলিম প্রধান ও তার নিয়োজিত সন্ত্রাসীরা অন্যায়ভাবে আমাদের আড়ৎ দখলের
চেষ্টা করছে। বিগতদিন তার লোকজন আড়ৎ থেকে দুই কোটি টাকা চাঁদা আদায় করেছে।
এই চাঁদাবাজির প্রধান উৎসাহদাতা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত উর্ধ্বতন
কর্মকতা মো: নাজিম উদ্দিন। সেলিম প্রধান ক্যাসিনোকান্ড ও দূর্নীতিদায় এবং
মানিলন্ডারিং এর দায়ে সাজাপ্রাপ্ত আসামী হওয়া সত্বেও এই সেনা কর্মকর্তার
সহযোগিতায় বিভিন্ন অপকর্মে জড়িয়ে পরেন। এছাড়াও, এই অবসরপ্রাপ্ত সেনা
কর্মকর্তা তাকে উপজেলা নির্বাচনে মাঠ পর্যায় সার্বিক সহযোগিতা করেন। অনেকে
ধারণা করছে, গোপনে এই সেনা কর্মকর্তা সেলিম প্রধানের অনৈতিক ব্যবসা এবং
কর্মকান্ডের সাথে জড়িত। সেলিম প্রধান এই সেনা কর্মকর্তার সহযোগিতায় অপরাধের
ত্রাস চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে বিভিন্ন মহলে। সাধারণ মানুষ এই সেনা
কর্মকর্তার বিষয়ে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে।
চুক্তি ভঙ্গ করে জমির মালিক ক্যাসিনো কান্ডের সেলিম প্রধান বিসমিল্লাহ
পাইকারি কাঁচাবাজার ও ফলের আড়ৎ লাভজনক হওয়ায় চুক্তিভঙ্গ করে জমির মালিক
ক্যাসিনো কান্ডের সেলিম প্রধান ও তার নিয়োজিত সন্ত্রাসীরা আড়তটি দখলে
নেওয়ার পাঁয়তারা করছিলো। পাইকারি কাঁচা বাজার ও ফলের আড়ত, মুদিমনোহরী,
আদা,রসুন,পেয়াজসহ নিত্য প্রয়োজনীয় ৩৫০টি দোকান রয়েছে।
আড়ৎদারকে জিম্মি করে ১০ হাজার টাকা থেকে ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জোরপূর্বক
আদায় করেছে। আড়তের কয়েকটি দোকানের ক্যাশবাক্স ভাংচুর করে লুটপাট করেছে।
বিভিন্ন অভিযোগ করার পরও আড়ৎদাররা তাদের সুষ্ঠু বিচার পাচ্ছে না। আড়ৎদারগণ
বিভিন্ন আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে এবং ব্যবসায়িকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে অনেকে।
এছাড়াও, ধারণা করা হচ্ছে, এই অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তার সহযোগিতায় আইনের
ফাঁদ থেকে বেঁচে যাচ্ছে এই ক্যাসিনো সেলিম। সাধারণ ব্যবসায়ীরা এই
অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা এবং অন্যান্য সন্ত্রাসীদেরও বিচার দাবি করে।
অপরাধের সহযোগিতাকারীদের বিচারের আওতায় না আনলে দিনদিন অপরাধ বেড়ে যাবে বলে
এই আশঙ্কা করেন বিশ্লেষকগণ। সেলিম প্রধান এবং তার সন্ত্রাসী বাহিনীরা
আড়ৎদার ব্যবসায়ীদের থেকে চাঁদা তুললো, আড়ৎ ভাংচুর করলো এবং আড়ৎ অবৈধভাবে
দখল করার পায়তারা করলো। এই সকল অপরাধ করেও, সে নিজের রাশিয়ান স্ত্রী কে
ব্যবহার করে উল্টো নিরপরাধ মানুষের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করতেছে
যা হতাশজনক ও নিন্দনীয় । এবং এই মিথ্যা মামলা তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করে
সুশীল সমাজ ও আড়ৎ ব্যবসায়ীবৃন্দ।