কোরবানি
ঘনিয়ে আসায় জমতে শুরু করেছে পশুর হাট।
শাহীন আহমেদ
শরিয়তপুর প্রতিনিধি!!
৪ দিন পর ঈদুল আযহা। কোরবানি ঘনিয়ে আসায় জমতে শুরু করেছে পশুর হাট। তবে
হাটে পশুর আমদানি বেশি থাকলেও তুলনামুলক বেচাকেনা কম বলে জানিয়েছেন
ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়ীরা জানান, অন্য সব বছরের তুলনায় এ বছর বাজারে ক্রেতার
সংখ্যা কম।
যে কারণে চাহিদার তুলনায় পশুর আমদানি বেশি হওয়ায় দামও কম।
হাট ঘুরে জানা যায়, প্রতি সপ্তাহের বুধবার শরিয়তপুর জেলার সখিপুর বাজারে
পশুর হাট বসেন। হাটে চাঁদপুর, মাদারীপুর, ফরিদপুর, বরিশাল, পটুয়াখালী,
ভোলা ও বরগুনা জেলাসহ দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকার ব্যবসায়ী ও খামারীরা
গরু- মহিষ ও ছাগল- ভেড়া বিক্রি করতে নিয়ে আসেন। লক্ষীপুর, চাঁদপুর,
নোয়াখালী, রাজশাহী, নওগা, ফরিদপুর, মাদারীপুর ও ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা
থেকে আসা পাইকাররা এসব পশু কিনে নিয়ে যান। কোরবানি ঘনিয়ে আসায় হাটে
স্বাভাবিকের তুলনায় পশুর আমাদানি বেশি হয়েছে। হাটে প্রায় ১ লাখের বেশি
কোরবানির পশু উঠেছে। তবে সেই তুলনায় ক্রেতার সংখ্যা কম বলে দাবি করছেন
ব্যবসায়ীরা। যার কারণে পশুর দামও কম। বাজারে বড় গরুর চেয়ে মাঝারি ও ছোট
গরুর চাহিদা ও দামও ভালো বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
সখিপুরের রাসেল মিয়া গরু ব্যবসায়ী বলেন,‘ ৪ টি গরু নিয়ে এসেছি। ১ টি ও
বিক্রি করতে পারি নাই। বাজারে ক্রেতা কম, পাইকার বেশি। তাই বাধ্য হয়ে
পাইকারদের কাছে কম দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। এতে আশানুরূপ লাভ হবে না বলে
জানান ওই ব্যবসায়ী।
সখিপুর থানার পুলিশ সর্বক্ষণ নিরাপত্তা দিয়ে যাচ্ছেন। গরু হাটের ইজারাদরা
পর্যবেক্ষণ রয়েছেন।