একটি বাস্তব ঘটনা
জীবনের খারাপ সময়ের মধ্যেও যে প্রচন্ড ইচ্ছাশক্তি আর দৃঢ় মনোবলকে কাজে লাগিয়ে সফলতা অর্জন করা যায় তা প্রমাণিত করলো এই দারিদ্র্য পীড়িত মেয়ে তিথি।
এইচএসসি পরীক্ষার মধ্যে বাবা মারা যায় তার। দিনমজুর পরিবারের একমাত্র কর্মক্ষম মানুষ চলে যাওয়ার পর বড় ইচ্ছা পোষণ করা অসম্ভব যেখানে খাবার জোগাড় করাই দুর্বিষহ।
বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার স্বপ্ন খালি পেটে থেকেও নিয়মিত তাড়িত করে তিথির। স্বপ্নের তাড়নায় ভর্তি পরীক্ষার মাত্র কিছুদিন আগে তিথি সহযোগিতার জন্য আসে বর্তমান ইউএনও মিজানুর রহমানের কাছে। সে সবকিছু খুলে বলে তার পরিস্থিতির কথা।
ইউএনও তৎক্ষনাৎ আমাকে দায়িত্ব দিলেন একটি কোচিং সেন্টারে তাকে ভর্তি করে দেয়ার জন্য। ইউএনও মেয়েটিকে কিছু বই কিনে দিলেন।
বাবা হারানোর শোক ও দারিদ্র্যের সাথে লড়াই করে মাত্র একটি সুযোগকে কাজে লাগিয়ে তিথি বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজিতে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে।
এ যেন এক হার না মানা গল্প
তিথির জন্য অনেক দোয়া ও শুভ কামনা
আর মানবিক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: মিজানুর রহমান স্যারের প্রতি শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা।