মাগুরায় সামাজিক দন্দ্বে মারধর, ভাংচুর, লুটপাট!!
মো: রনি আহমেদ রাজু ,ক্রাইম রিপোর্টার:মাগুরায় সামাজিক দ্বন্দ্বের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় বসতবাড়ি, দোকানপাট ভাঙচুর লুটপাট ও মারধরের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (০৬ আগস্ট) ভোরে সদর উপজেলার গোপালগ্রাম ইউনিয়নের অন্তত পাঁচটি গ্রামে এমন নৃশংস ঘটনায় ঘটে। নিরীহ সাধারণ মানুষের বাড়িঘর ভাঙচুর এবং তাদের করুন আর্তনাদের চিত্র লক্ষ্য করা ফুটে উঠেছে গ্রাম গুলোতে।
সহায় সম্বল হারিয়ে ভুক্তভোগী পরিবারগুলো আতঙ্কে দিন পার করছে। স্থানীয়রা বলছেন হামলার শিকার পরিবারগুলোর কিছুই রাখা হয়নি, দুর্বৃত্তরা সব নিয়ে গেছে । তারা নিঃস্ব হয়ে গেছে। তাদের মালামাল ফেরত সহ এমন নৃশংসতার বিচার চান তারা।
ক্ষতিগ্রস্ত ভুক্তভোগীদের অভিযোগ স্থানীয় সামাজিক দলের নেতা তৈয়েবুর রহমান খোকন এবং পান্না মোল্লার নেতৃত্বে মাজু, জাহিদুল, ওমর,সাহেব, জুয়েল সহ একদল সন্ত্রাসী ইউনিয়নের সংকোচখালি, গোপালগ্রাম, গোয়ালবাথান, শিয়ালজুরি, এবং পয়ারী সহ বেশ কয়েকটি গ্রামে নিরীহ গ্রামবাসীদের কে মারধর, তাদের বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর এবং লুটপাট চালায়। এ সময় তারা ইউনিয়নের পাঁচটি গ্রামের অন্তত ১০-১২ টি বসত বাড়ি ও ০৮-১০ টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর করে টাকা-পয়সা সোনা রুপা মূল্যবান জিনিসপত্র সহ অন্তত ১০ টি গবাদি পশু লুট করে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সরকার পতনের দ্বিতীয় দিন প্রশাসনের অনুপস্থিতির সুযোগে তারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগী এলাকাবাসীর। অভিযুক্ত তৈয়বুর রহমান খোকন এবং পান্না মোল্লা ১৯৯৬ সাল থেকে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত এবং বর্তমান তারা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করছিলেন। এ সময় তাদের নেতৃত্বে হত্যা, চাঁদাবাজি, রাহাজানি, অনৈতিক সালিশ বিচারের মাধ্যমে জুলুম নিপীড়ন, অর্থ আত্মসাৎ ডাকাতি ছিনতাই সহ নানা অপকর্ম সংগঠিত হয়েছে বলে জানান এলাকাবাসী। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান ভুক্তভোগী পরিবার গুলো। অভিযুক্ত তৈয়বুর রহমান খোকন মুঠোফোনে জানান, তিনি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এবং স্থানীয় একটি সামাজিক দলের নেতৃত্ব দেন। ঘটনার আগের রাতে বিএনপি'র দুই কর্মীকে আওয়ামী লীগ সমর্থিতরা মারধর করলে তারই জেরে ক্ষিপ্ত হয়ে বিএনপি'র সমর্থকেরা বাড়িঘরগুলো ভাঙচুর এবং লুটপাট করেছে। অপর অভিযুক্ত পান্না মোল্লার মুঠো ফোন বন্ধ থাকায় তার সাথে যোগাযোগ সম্ভব হয়নি।
গোপালগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ নাসিরুল ইসলাম মিলন বলছেন সামাজিক দ্বন্দ্ব এবং ব্যক্তিগত স্বার্থ চরিতার্থ করার উদ্দেশ্যে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি তৈয়েবুর রহমান খোকন এবং পান্নার নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী এই ঘটনা ঘটিয়েছে। এর সাথে রাজনৈতিক কোন সম্পর্ক নাই। ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্টদের বিচারও দাবি করেন তিনি।