মান্দায় সাবেক ছাত্রনেতা শরীফের উপরে অতর্কিত হামলা ৬টি গাড়িতে অগ্নি সংযোগ ও ভাঙচুর

ফজলুল করিম সবুজ

(নওগাঁ প্রতিনিধি) -

নওগাঁর মান্দায় কালিকগ্রাম জাগরনী ক্লাবের কমিটি গঠন নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে ৬টি মোটরসাইকেল আগুন ও ৫টি মটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়েছে।  বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার নুরুল্লাবাদ ইউনিয়নের কালিগ্রাম জাগরনী ক্লাব চত্বরে এ ঘটনা ঘটে। 

জাগরনী ক্লাবের নতুন কমিটি গঠন করার লক্ষে সমাবেশস্হলে সাবেক সভাপতি উপস্থিত হলে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে তাকে মারধর করে এতে সাবেক সভাপতি হীরা আহত হয়।উত্তেজিত অবস্হায় সাবেক ছাত্রনেতা শরীফ উদ্দিন তার সঙ্গীদের সাথে নিয়ে জাগরনী ক্লাব মাঠে এলে উত্তেজিত অবস্থায় থাকা রাজু মেম্বারের লোকজন অতর্কিত হামলা চালিয়ে ৬টি গাড়িতে আগুন লেগে দেয় এবং বাঁকী  পাঁচটি গাড়ি ভাঙচুর করে। শরীফসহ বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হয়।পরে স্হানীয় লোকজন, ফায়ার সার্ভিস ও মান্দা থানাকে অবিহিত করেন। ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিস এবং মান্দা থানা ওসি মনসুর রহমান উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। 

হামলায় আহতরা হলেন, জাগরনী ক্লাবের বর্তমান সভাপতি আবু এহিয়া সরকার হীরা (৫৮), শরীফ উদ্দিন (৩৫), আব্দুল হাকিম (৩২) ও মিঠু হোসেন (৩৪)। আহত শরীফ হোসেন ও আব্দুল হাকিমকে মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন ক্লাবের সভাপতি আবু এহিয়া সরকার হীরা ও মিঠু হোসেন। 

জাগরনী ক্লাবের সভাপতি আবু এহিয়া সরকার হীরা বলেন, ‘পুরাতন কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ায় ক্লাবের নতুন কমিটি গঠনের লক্ষে বৃহস্পতিবার রাতে সাধারণ সভার দিন ধার্য্য ছিল। ওই সভায় যোগদানের জন্য সন্ধ্যার পরে দেলুয়াবাড়ি বাজার থেকে একটি ভ্যান নিয়ে রওনা হই। রাত সাড়ে ৭টার দিকে ক্লাবের কাছে পৌছা মাত্র পূর্ব পরিকল্পিভাবে ইউপি সদস্য রাজু আহমদের নেতৃত্বে আমার ওপর হামলা চালানো হয়'।

তিনি আরও বলেন, এ সময় আমাকে বাঁচানোর জন্য শরীফ উদ্দিনসহ অন্যরা এগিয়ে এলে তাদেরও মারধার করা হয়। এতে শরীফ উদ্দিন, আব্দুল হাকিম ও মিঠু হোসেন আহত হন।পরে রাজু আহমদের লোকজন ৬টি মোটরসাইকেলে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। ভাঙচুর করে আরও ৫টি মোটরসাইকেল। 

এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য রাজু আহমেদের সাথে যোগাযোগ করা হলে মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনসুর রহমান বলেন, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শরিফের বাবা শাদাবুদ্দিন একটি এজাহার করেছেন। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।