মাগুরাতে কুল্লিয়া গ্রামের মেম্বার জাহার এর নেতৃত্বে বিএনপির লোকজনের বাড়ি ঘর দোকান ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ
মোঃ রনি আহমেদ রাজু, ক্রাইম রিপোর্টার : মাগুরা সদরের কুল্লিয়া কুচিয়ামোড়া ইউনিয়নের,কুল্লিয়া গ্রামের প্রায় ৩০ টি বাড়ি দোকানপাট ভাঙচুর ও হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা।পুলিশ জাহার মেম্বারের গ্রুপের ১০ জনকে আটক করেছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। জানা যায় গ্রামে দীর্ঘদিন ধরে জাহার মেম্বার ও বাকিয়ার মোল্লার ভিতর সামাজিক দ্বন্দ্ব চলছিল। ফলে গত ১৬ তারিখে উভয়পক্ষের দুজনের ভিতর আকস্মিক গোলমাল হয়। ১৭ তারিখ সকাল বেলা জাহার মেম্বারের দলবল বাকিয়ার রহমানের বাড়িতে অতর্কিত হামলা সহ ৩০ টি বাড়ি ও দোকানপাট ভাঙচুর লুটপাট করে।অনেক বাড়ি থেকে নগদ টাকা,ফ্রিজ, এলইডি টেলিভিশন,মোটরসাইকেল,পাওয়ার টিলার সহ অন্যান্য মালামাল নিয়ে গিয়েছে দুর্বৃত্তরা, সেনাবাহিনীর সদস্য ও পুলিশ প্রশাসন তাৎক্ষণিক গ্রামে এসে আইন-শৃঙ্খলার নিয়ন্ত্রণে আনে। জাহার মেম্ব গ্রুপের দশজনকে আটক করেন এব্যাপারে থানায় মামলা হয়েছে।
ঘরবাড়ি,দোকান ভাংচুর ও লুটপাট হয় বাঁকা হরিশপুর কেসমত মোল্লার। তফসির মোল্লার বাড়িতে ৪ টি ঘর কুপিয়েছে, মোটরসাইকেল, পাওয়ার টিলার, মোটর, টিউবওয়েল ও ৩ লাখ ২০ হাজার টাকা নিয়ে গেছে। জনাব মোল্লার পুত্র জাহাঙ্গীর মোল্লার বাড়িঘর ভাংচুর করা হয়। দক্ষিণ মাগুরা ইউনিট কৃষকদল সাধারণ সম্পাদক মোঃ সেলিমুজ্জামান সেলিমের বাড়িতে ব্লিডিংয়ের ৫ টি থাই গ্লাস, টাকা ও স্বর্ণালংকর সহ ক্ষতির পরিমাণ ১ লাখ ২০ হাজার টাকা, কুল্লিয়া গ্রামের মৃত ছবির মোল্লার পুত্র জিল্লাত মোল্লার দোকান থেকে ৭০ হাজার টাকা, ফ্রিজ, টিভি, দোকানের মালামাল লুটপাট হয়, বকুল মোল্লার সোহাগের বাড়ি ভাংচুর, মালামাল লুটপাট ও গোয়াল ঘর থেকে সাড়ে ৪-৫ লাখ টাকার এড়ে গরু নিয়ে যায়, রসুল মোল্লার পুত্র বশারত মোল্লার বাড়ি ভাংচুর ও ৫ লাখ টাকার ক্ষতি করে, আছাদ মোল্লার পুত্র ফরাদ মোল্লার দোকান ঘর ভাংচুর করে এলসিডি টিভি, ফ্রিজ ও ১ লাখ টাকা ২০ হাজার টাকা মালামাল লুটপাট করে, হাকিম মোল্লার পুত্র মহিদুলের ঘরের মালামাল লুটপাট করে, এছাড়াও এলাকার সাগর মোল্লা, বাশার মোল্লা, আমানত মোল্লা, বকুল মোল্লা, কাওছার মোল্লা, সুজ্জাত মোল্লা, রমজান মোল্লা, শিহাব মোল্লা, বাবু মোল্লা, বাকিয়ার মোল্লা, সরু মোল্লা, সেলিম মোল্লা, ফরহাদ মোল্লা, মহিদুল মোল্লা, বিকু মোল্লা, নুর মিয়া, নবীর মোল্লা, জিল্লাদ, সাগর মোট ২৫-৩০ টি বাড়ি ভাংচুর ও লুটপাট করা হয় শনিবার ১৬ নভেম্বর ভোর ৪.৩০ টার সময় দেশীয় অস্ত্র চাইনিজ কুড়াল, রামদা, ছ্যান্দা, হাতুড়, শাবল, লাঠিসহ প্রায় ৪ শত থেকে ৫ শত দূর্বৃত্তদের সংঘবদ্ধ দল এই হামলা চালায়। অপরদিকে কুল্লিয়া চরপাড়া গ্রামের আনারুল মোল্লা ও তার স্ত্রী মাফুজা খাতুন জানান, বাকিয়ারের লোকজন আওয়াল ডাক্তার, সোহাগ এসে আমাদের বাড়ির জানালার সবগুলো থাই গ্লাস ভাঙ্গে ও রাতুলের দোকান, ইকরাম মোল্লার দোকান ভাংচুর করে লুটপাট করে নিয়ে যায়। মামলার আসামি মোঃ মুস্তাক বিশ্বাস, পিতা- মৃত মো: সালামত বিশ্বাস, গ্রাম- বাঁকা হরিশপুর জানান, বাদী পক্ষরা বেশির ভাগ মিথ্যা কথা বলে সাজানো নাটক করেছে এবং আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না, কিন্তু আমাকে আসামি করে দিয়েছে। মো: ফারুক মোল্লা জানান, বিগত স্বাধীনতার ৫৩ বছরে এমন বর্বর হামলা ও লুটপাট দেখি নাই। কুল্লিয়া মধ্যপাড়া গ্রামের মৃত দুলাল হোসেন মোল্লার পুত্র মোঃ শরিফুল ইসলাম (বাকিয়ার মোল্লা) ঢাকা সিএমএম কোর্টের পেশকার অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা জানান, মেম্বার জাহাঙ্গীর হোসেন জাহার এর নেতৃত্বে সকাল বেলা থেকে ৩-৪ শত দূর্বৃত্ত লোকজন নিয়ে আমার বাড়ির উপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও পাশের বাড়িতে কুপানো শুরু করে দেয় এবং গ্রামের ৩০ টির মতো বাড়ি ঘর ভাংচুর ও লুটপাট করে। মেম্বার মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন জাহারের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে সে ফোন রিসিভ করে নাই, সোমবার ১৮ নভেম্বর মাগুরা সদর থানার এজাহার সূত্রে জানা যায়, বাদী মোঃ রফিকুল ইসলাম পিং- মৃত আতিয়ার রহমান মোল্লা, সাং-বলুগ্রাম, থানা ও জেলাঃ মাগুরা। গ্রাম্য দলাদলি ও রাজনৈতিক শত্রুতা থাকার কারনে এতক্রমে গত ইং ১৭/১১/২০২৪ তারিখ সকাল ৬টার সময় আসামী ১। মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন জাহার (৫৫) পিতা-মৃত হাফিজার মোল্যা, ২) প্রিন্স মোল্যা (২৬) ৩) সিয়াম মোল্যা (২২) উভয় পিতা জাহাঙ্গীর হোসেন জাহার, আসামী ৪) রোবায়েত মোল্যা (৪০) পিতা-মৃত আজিজার মোল্যা, আসামী ০৫) হৃদয় হোসেন (২১) পিতা। রোবায়েত মোল্যা, ৬) আলি মোল্যা (৫০) ৭) সালেক মোল্যা (৬৫) সর্ব পিতা মৃত আলতাফ মোল্যা, সর্ব সাং-পারকুল্লিয়া। আসামী ৮) আকরাম বিশ্বাস (৫৭), ৯) কুদ্দুস বিশ্বাস (৬০) ১০) মুজিবর বিশ্বাস (৫৫) ১১) আরজ আলী বিশ্বাস (৫৮) ১২) রজেক বিশ্বাস (৬২) সর্বপিতা মৃত খোরশেদ বিশ্বাস, ১৩) সোহাগ (৩২), ১৪) সোহেল (২৯) সর্ব পিং-আকরাম বিশ্বাস ১৫) শিমুল বিশ্বাস (২৫) পিং রজেত বিশ্বাস, ১৬) নিয়াম (৪০) ১৭) শিহাব বিশ্বাস (৩৮) সর্ব পিতা- মৃত রিয়াজুল বিশ্বাস। ১৮) নয়ন (২৪) পিতা- নিয়ান বিশ্বাস, ১৯) এরশাদ বিশ্বাস (৩৬) পিতা কুদ্দুস বিশ্বাস ২০) ইদ্রিস (৫৫) ২১) হিরু (৪২) সর্ব পিতা) জীবন বিশ্বাস, ২২) সাগর বিশ্বাস (২৬) ২৩। রউফ বিশ্বাস (২৪) সর্ব পিতা- ইদ্রিস বিশ্বাস, ২৫। মুস্তাক (২৫) পিতা-মৃত সালামত বিশ্বাস, সর্ব সাং- বাকাহরিশপুর, ২৬। খলিল বিশ্বাস (৭০) ২৭। বারেক বিশ্বাস (৬৫) সর্বসাং-বাকাহরিশপুর, ২৮। তোজাম বিশ্বাস (৪৭) ২৯। শাহিদুল বিশ্বাস (৪৫) ৩০। নাজমুল বিশ্বাস (৪৩), ৩১। কায়কোবাদ (৩৮) সর্ব সাং-কুল্লিয়া, সর্ব পিতা-দুদু বিশ্বাস। ৩২। নাজির বিশ্বাস (৪০) ৩৩) মাজেদুল (৩৫) সর্ব সাং-বাকাহরিশপুর, সর্ব পিতা- বারেক বিশ্বাস। ৩৪) মনা বিশ্বাস (৪৫) ৩৫) মোরসিদুল (৪০) সর্ব সাং- বাকাহরিশপুর, উভয় পিতা-খলিল বিশ্বাস, ৩৬। শামীম (৩৫) পিতা- তোজাম বিশ্বাস, ৩৭। মোঃ সাইম বিশ্বাস (৩৫) পিতা- সাহিদুল বিশ্বাস, সাং-কুল্লিয়া, ৩৮। ইমরান বিশ্বাস (৩৫) পিতা- মুত ওবায়দুল বিশ্বাস, ৩৯) ইমামুল বিশ্বাস (৩৫) ৪০) ইজাজুল বিশ্বাস (৩০) সাং কুল্লিয়া, পিং-নাজমুল বিশ্বাস, ৪১। হাফিজুল বিশ