ক্ষেতলালে নিশ্চিন্তা বাজারে চুরি যাওয়া খাশির মাংস বিক্রয় কালে আটক হলেন কশাই
(জয়পুরহাট) প্রতিনিধিঃ
জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার প্রবাশীর স্ত্রী পলী বেগমের চুরি যাওয়া ছাগলের খাসি ক্ষেতলাল উপজেলার নিশ্চিন্তা বাজারে জবাই করে মাংস বিক্রির অভিযোগ তিন কশায়ের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় উপজেলার নিশ্চিন্তা বাজারে এ
ঘটনা ঘটে। ওই দিন বেলা ১২টায় ক্ষেতলাল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন পলী৷ থানা সূত্রে জানা যায়, কালাই উপজেলার কাজীপাড়া গ্রামের প্রবাসী কাজল হোসেনের স্ত্রী পলী বেগম তার ১টি ছাগলের খাসি ছিল মূল্য
আনুমানিক ২৬ হাজার টাকা (২৭এপ্রিল) বুধবার সন্ধ্যায় বাড়ীর বাহিরে বেধে রাখা অবস্থায় হারিয়ে যায়। পরের দিন (২৮ এপ্রিল) বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় পলীর ভাই ওয়াজেদ আলী ক্ষেতলাল উপজেলার
নিশ্চিন্তা বাজারে এসে দেখতে পায় তিন কশাই ওই খাসিটি জবাই করে মাংস বিক্রি করছে বিবরণ মতে খাসিটি সনাক্ত করে পলীকে খবর দেয়।
সে ঘটনাস্থলে এসে জবাই করা খাসির চামড়া ও মাথা দেখে চিনতে পায়। বিষয়টি স্থানীয় ভাবে নিস্পত্তি করার জন্য তার স্বজন’রা চেষ্টা করে।
এমন ঘটনার খবর পেয়ে ক্ষেতলাল থানার এসআই কাজী রেজাউল করিম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে বেলা ১২টায় ঘটনাস্থলে গিয়ে জবাইকৃত
খাসির অবিক্রিত ১৭ কেজি মাংসসহ ওই তিনজনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
আটককৃতরা হলেন, ক্ষেতলাল উপজেলার বাঘোপাড়া
গ্রামের আজাহার আলীর ছেলে খয়ের আলী (৩৫), একই গ্রামের আঃ ছাত্তারের ছেলে ছানোয়ার হোসেন(৫৫) হোপ হাটখোলার সাদেক আলীর
ছেলে আতোয়ার হোসেন (৫৬)।
আটককৃত খয়ের আলী, ছানোয়ার হোসেন ও আতোয়ার কশাই জানান,
গত ২৭ এপ্রিল বুধবার জয়পুরহাটের নতুন হাট থেকে ১৭ হাজার টাকা দিয়ে খাসিটি কিনে এনেছি। আজ বৃহস্পতিবার সকালে জবাই করেছি নিশ্চিন্তা বাজারে মাংস বিক্রি করার জন্য। আমাদের কাছে হাট
থেকে কেনার রিসিপ থাকা সত্বেও পুলিশ মিথ্যে অভিযোগে থানায় এনে আমাদের হয়রানি করছে।
এবিষয়ে খাসির মালিক পলী বেগম বলেন, আমি খাসি চুরির বিষয়টি স্থানীয় ভাবে নিষ্পত্তি করতে চেয়ে ছিলাম।
থানায় অভিযোগ করতে চাইনি। স্থানীয় কিছু ব্যক্তি থানায় খবর দিলে তারা আমাকে ডেকে এনে অভিযোগ করাতে বাধ্য করে।
এ বিষয়ে ক্ষেতলাল থানার ওসি রওশন ইয়াজদানী বলেন, খাসি চুরির বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। অভিযুক্তদের কাছে থেকে অবিকৃত ১৭কেজি মাংসসহ আটক করা হয়৷ এবং আসামীদের আদালতে পাঠানো হয়েছে৷