গাইবান্ধায় কোটি টাকার রাবার বাগান থেকে উৎপাদন বন্ধ চাষি এখন চা বিক্রেতা !
মোঃরনি আহমেদ রাজু ক্রাইম রিপোর্টার
বাণিজ্যিক খাতকে উন্নত করতে চাষি আব্দুল আউয়াল মিয়ার সদ-ইচ্ছায় মালশিয়ানদের মতো রাবার বাগান চাষ শুরু করেছেন।তিনি দীর্ঘদিন পার্বত্য চট্টগ্রামে এক রাবার বাগানে অভিজ্ঞতা অর্জন করে রাবার চাষে ব্যাস্ত হয়ে পরেন চাষি আব্দুল আউয়াল।তিনি একপর্যায়ে এক রাবার মালিকের পরামর্শ ক্রমে, চাষি আব্দুল আউয়াল ১.৫০০ শত রাবার চাড়া ক্রয় করেন। বর্তমানে এ জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার শান্তিরাম ইউনিয়নের পাঁচগাছি শান্তিরাম গ্রামে রাবার বাগানটি এখন দৃশ্যমান হয়ে উঠেছে।চলার পথে গত সাপ্তাহে উপজেলার মজুমদার হাট নামক স্থানে চায়ের দোকানে রাবার বাগানের গল্প শুনে, বাগান মালিক আব্দুল আউয়াল মিয়ার সঙ্গে জেলা সংবাদকর্মী মোঃ সাইফুল ইসলামের সঙ্গে কথা হলে, বাগান মালিক গণমাধ্যমকর্মীকে রাবার বাগানে নিয়ে যায়।বাগানে প্রবেশ করতে না করতেই কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন বাগান চাষি আব্দুল আউয়াল।তিনি কান্না জরিত কন্ঠে গণমাধ্যমকর্মীকে জানান, ১৫ লক্ষ টাকা খরচা করে স্বাবলম্বী হওয়ার আশায় মালয়েশয়ানদের মতো রাবার বাগান চাষ শুরু করেন।চাষির স্বপ্ন পূরুণের সময় আসলেও অর্থা-অভাবে রাবার উৎপাদন করতে পারছেন না তিনি।কোটি টাকার সম্পদ রাবার বাগান ফেলে জীবিকার তাগিদে এখন হয়েছেন চা বিক্রেতা। তিনি আরো বলেন, আমি হেরে গেলাম মাত্র ৩/৪ লক্ষ টাকার কাছে।বর্তমানে এ বাগানে ৩/৪ লক্ষ টাকা খরচা করতে পারলেই, প্রতি মাসে প্রায় ৬০ হাজার টাকা ইনকাম সম্ভব।আমি বিভিন্ন এনজিও ব্যাংকের দাঁড়ে দাঁড়ে ঘুরেও ৩/৪ লক্ষ টাকার ঋণ মেলাতে পারিনি।বর্তমান আব্দুল আউয়াল মিয়ার রাবার বাগানে প্রতিদিন ১ হাজার কেজি রাবার উৎপাদন করা সম্ভব, যাহার বাজার মূল্য প্রায় ৭০ হাজার টাকা।এমন ভাবে দিনের পর দিন, রাবার উৎপাদন করতে ব্যার্থ হলে, লসের পরিমাণ আরো দীগুন হবে। তাই বাগানটিকে বাচিয়ে রাখতে চাষির আকুতি, তিনি বলেন, বানিজ্যিক ভাবে রাবার বাগান থেকে রাবার উৎপাদন করতে বানিজ্যিক মন্ত্রনালয়ের সকল কর্মকর্তাগণের সহযোগিতা চেয়েছেন চাষি আব্দুল আউয়াল। তিনি মনে করেন, তাকে সহযোগিতা করা হলে, বানিজ্যিক খাদকে আরো বেশি উন্নত করা সম্ভব হবে। তাই তিনি বানিজ্যিক মন্ত্রনালয়ের সকল কর্মকর্তাগণের সু-দৃষ্টি আকর্ষণ কামনা করছেন।