জয়পুরহাটে রাস্তা বন্ধ সপ্তাহ ব্যাপী অবরুদ্ধ পরিবার
আঃ রাজ্জাক জয়পুরহাট প্রতিনিধিঃ
জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে বসতবাড়ীর উপর দিয়ে জোর পূর্বক চলাচলের রাস্তা নির্মাণে বাধা দেওয়ায় মাজেদা বেগম নামে অসহায় এক নারীর নিজ বাড়ী থেকে বের হওয়ার পথসহ বাড়ীর চার দিকে বাশেঁর বেড়া দিয়ে ঘিড়ে এক সপ্তাহ যাবত অরুদ্ধ করে রাখে প্রতিবেশীরা। গত ২০ ডিসেম্বর সোমবার দাশড়া সড়াইল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় ওই নারী প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের ও ক্ষেতলাল উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর অভিযোগ করার পরও বিষয়টি নিস্পত্তি করা হয়নি।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, উপজেলার দাশড়া সড়াইল গ্রামের সুদ্দরত জামান, সে গত ৩ বছর যাবত নিরুদ্দেশ তার স্ত্রী ১১ সন্তানের জননী মাজেদা বেগম (৫০) এর পৈত্রিক ও ক্রয় সূত্রে পাওয়া ৩৯ শতক জমির উপর তার বসত বাড়ী। সেখানে ছেলে-মেয়ে নিয়ে বসবাস করেন তিনি। এমতাবস্থায় ওই গ্রামের কয়েকজন প্রভাবশালী প্রতিবেশী মাজেদা বেগমের বাড়ীর পশ্চিম পার্শ্বে নিজ জায়গার এক পাশ দিয়ে জোর পূর্বক চলাচলের রাস্তা নির্মাণ করার চেষ্টা করে। এতে মাজেদা বেগম ওই রাস্তা নির্মাণে প্রতিবেশীদের বাধা দিলে তারা বিভিন্ন ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ তাকে এবং তার মেয়েকে শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করে। পরে প্রভাবশালীরা ওই বাড়ীর চারদিক বাঁশের বেড়া দিয়ে তাদের চলাচলের পথ বন্ধ করে রাখেন। অভিযোগ পেয়ে ক্ষেতলাল উপজেলা নির্বাহি অফিসার সরেজমিনে গিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং দ্রুত নিস্পত্তি না করে আগামী বৃহস্পতিবারের সরকারি আমিন দিয়ে মাপ পরিমাপের পর বিষয়টি নিস্পত্তি করার আশ্বাস দেওয়া হলেও ওই অসহায় মহিলার পরিবার এখনও অবরুদ্ধ অবস্থায় বসবাস করছে।
দাশড়া সড়াইল গ্রামের আজিজার রহমান বলেন, দীর্ঘদীন যাবত গ্রামের অধিকাংশ লোকজন মাজেদা বেগম এর বাড়ীর পশ্চিম পাশ দিয়ে চলাচল করে আসছে। বর্তমান ওই গ্রামের চলাচলের সুবিধার্থে তার সামান্য জায়গার উপর দিয়ে সরকারিভাবে পাকা রাস্তা নির্মাণের জন্য উদ্যোগ নেওয়া হলে ওই মহিলা বাধা দেয়। রাস্তা না পেয়ে পার্শ্ববর্তী জায়গার মালিক’রা তাদের জায়গা সীমানা ঘেষে বাঁশের বেড়া দিয়ে রাখে। তার বাড়ীর রাস্তা বন্ধ করা হয়নি।
মাজেদার মেয়ে ৯ম শ্রেণিতে পড়ুয়া স্কুলছাত্রী ফাতেমা ইয়াসমিন কাঁন্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, দুই পাশের জমির উপর দিয়ে রাস্তা নির্মাণে কথা বলতে গেলে আমার মা ও আমাকে শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করে এবং আমাদের বাড়ীর চার দিকে বাঁশের বেড়া দিয়ে অবরুদ্ধ করে রাখে।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান হাইকুল ইসলাম লেবু মোল্লা কে বার বার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
উপজেলা নির্বহী অফিসার ইসতিয়াক আহমেদ বলেন, এ বিষয়ে আমার নিকট অভিযোগ এসেছে। সরেজমিনে তদন্তে গিয়েছিলাম সীমানা সংক্রান্ত জটিলতা আছে। আগামী বৃহস্পতিবার সার্ভেয়ার দিয়ে সীমানা পূর্ণ নির্ধারন করে বিষয়টি নিষ্পত্তি করা হবে। কিন্তুু বাস্তবে বাড়িটি এখন পর্যন্ত অবরুদ্ধ এ বিষয়ে ইউএনও সাংবাদিকদের বলেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান কে বলা হয়েছে।