স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ১৭টি নথিসহ ফাইল হারানোর ঘটনাটি পুলিশকে জানানোর পর একটি তদন্ত কমিটিও গঠন
-
বাংলাদেশ সচিবালয়
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ১৭টি নথিসহ ফাইল হারানোর ঘটনাটি পুলিশকে জানানোর পর একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে।
থানায় সাধারণ ডায়রি (জিডি)
করার পরদিন শুক্রবার স্বাস্থ্য শিক্ষা ও চিকিৎসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলী নূর এই তদন্ত কমিটি গঠন করে দেন।তিন সদস্যের এই তদন্ত কমিটির
প্রধান থাকছেন চিকিৎসা শিক্ষা
ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন অনুবিভাগ) মো. শাহ্ আলম। বাকি দুই সদস্য হলেন- যুগ্ম সচিব
মো. আহসান কবীর (চিকিৎসা শিক্ষা, অতিরিক্ত
দায়িত্ব ক্রয় ও সংগ্রহ অধিশাখা) এবং উপসচিব (চিকিৎসা শিক্ষা-১) মোহাম্মদ আবদুল কাদের।কমিটিকে পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।জানতে চাইলে শাহ্ আলম শনিবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, কাজ শুরু করেছেন তারা। রোববার
থেকে শুরু হবে ‘মূল তদন্ত’।মোট ১৭টি নথি পাওয়া যাচ্ছে না জানিয়ে তিনি বলেন, “রহস্যটা কোথায়, তা খুঁজে বের করতেই কমিটি। এটা খুব
স্পর্শকাতর বিষয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী উনাদের মতো করে দেখছে। আমরা আমাদের মতো করে
কাজ করছি।”বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ থেকে ১৭টি
নথি হারিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়ে শাহবাগ থানায় জিডি করেন উপসচিব (প্রকল্প বাস্তবায়ন-১ শাখা, অতিরিক্ত
দায়িত্ব ক্রয় ও সংগ্রহ-২) নাদিরা হায়দার।জিডির বরাত দিয়ে ওসি
জানান, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের ক্রয় সংক্রান্ত শাখা-২
এর কম্পিউটার অপারেটর যোশেফ সরদার ও আয়েশা
বুধবার কাজ শেষ করে ফাইলটি একটি কেবিনেটে রেখে গিয়েছিলেন। ওই
ফাইলের ভেতরেই ১৭টি নথি ছিল।বৃহস্পতিবার অফিসে এসে কেবিনেটে ওই ফাইলটি আর খুঁজে না পাওয়ায়
থানায় জিডি করা হয়।জিডির পর সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় পুলিশের তদন্ত শুরু হয়নি।ওসি মওদুত বলেন, “বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জিডি করা হয়। শুক্রবার ও শনিবার সরকারি ছুটি। রোববার এবিষয়ে তদন্ত করা হবে।