মোঃ রনি আহমেদ রাজু ক্রাইম রিপোর্টার
বাজারের তুলনায় কম দামে পণ্য কিনতে টিসিবি’র প্রতি নির্ভরশীল সাধারণ মানুষ। প্রায় প্রতিদিন একই স্থানে এই পণ্য বিক্রি করা হলেও কমতি নেই ক্রেতার। কারণ দামটা দোকান কিংবা বাজারের থেকে অনেক কম। চিনি বাজারে ৮০ টাকা বিক্রি হলেও এখানে ৫৫ টাকা, ডাল ৫৫ টাকা এবং সোয়াবিন তেল মাত্র ১০০ টাকা লিটার যা বাজার দর থেকে প্রায় ৫০ টাকা কম। এছাড়া এখন পেয়াজ ও যুক্ত করা হয়েছে এ পণ্যের তালিকায়।মাঝেমধ্যে চাল বিক্রি করা হয়, ৩০টাকা দরে একজনের জন্য ১০ কেজি নির্ধারিত।লাইনে দাঁড়িয়ে এ পণ্য সংগ্রহ করা লাগলেও তাতে দ্বিধা নেই সাধারণ মানুষের।
গরীব কিংবা খেটে-খাওয়া মানুষের পাশাপাশি এই লাইনে মধ্যবৃত্তদের সংখ্যাও কম নয়। আবার কেউ নিজে দাঁড়াতে লজ্জাবোধ করায় অন্যকে কিছু টাকার বিনিময়ে দাঁড়িয়ে দেয়। তবুও নিতেই হবে এ পণ্য কেননা এই তিনটা পণ্যে বাঁচবে বেশ কিছু টাকা যার পরিমাণ প্রায় ১০০। যেটা এই মানুষগুলোর এক দিনের বাজার খরচ হয়ে যায়, এমনটি বলেছেন লাইনে দাঁড়ানো এক ব্যক্তি।রাজধানীর মোহাম্মদপুরের ঢাকা উদ্যান, বছিলা, ও তিন রাস্তার মোড়ে নিয়মিত বিক্রি হচ্ছে এই পণ্য। প্রতিদিন সকাল ৮/৯ টা থেকে বিকাল ৪/৫ টা পর্যন্ত বিক্রি করা হয় শতাধিক মানুষের মাঝে। পুরুষ এবং মহিলাদের আলাদা সারিতে দাঁড়াতে হয়। অনেক সময় একই পরিবারের ২/৩ জন লাইনে দাঁড়িয়ে থাকে ফলে কোথাও আইডি কার্ড প্রদর্শন করে নিতে হয় এই পণ্য।তবে ঢাকা উদ্যানের এক ক্রেতা মোঃ মন্জুরুল ইসলাম জানান- এই পণ্যগুলোর সাথে অতিরিক্ত কিছু পণ্য বিক্রি করা হলে সাধারণ মানুষের আরোও ভালো হত। কারণ দোকান থেকে ১ লিটার তেল কিনতে গেলে মনে হয় তেল ছাড়াই রান্না করতে বলি।
তবে এই পণ্য সরবরাহের জন্য সরকারকে সাধুবাদ জানিয়েছে এই মানুষগুলো। তাদের মতে দামতো বাজারে থাকবে সেটা হোক কম কিংবা বেশী। তবে আমাদের কথা চিন্তা করে সরকারতো একটা ব্যবস্থা করেছে। এটাই আমাদের কাছে অনেক।তবে এটাকে আরোও সহজলভ্য করার দাবী জানিয়েছে তারা, সেটা হতে পারে নির্দিষ্ট কোন দোকান কিংবা কোন প্রতিষ্ঠান। যেখান থেকে যখন ইচ্ছা সাধারণ মানুষ সংগ্রহ করতে পারবে।
মোহাম্মদপুরের ঢাকা উদ্যান এলাকা থেকে তথ্যটি সংগ্রহ করা হয়েছে। সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ১ টা পর্যন্ত প্রায় দু শতাধিক মানুষের মাঝে খাদ্য সমগ্রী বিক্রি করা হয়েছে বলে তারা জানায়। এখনও লাইনে দাঁড়িয়ে আছে প্রায় শতাধিক মানুষ।