মোঃরনি আহমেদ রাজু ক্রাইম রিপোর্টার
গত এক বছর ধরে দুইটি প্রতিষ্ঠান জালিয়াতি করে ৯টি চেকের মাধ্যমে যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের আড়াই কোটি টাকা তুলে নিয়েছে।
বৃহস্পতিবার শিক্ষাবোর্ডের অডিট টিমের কাছে এই জালিয়াতির ঘটনা ধরা পড়েছে। ঘটনা জানাজানির পর যশোর অঞ্চলে বেশ চাঞ্চল্যকর অবস্থা বিরাজ করছে।শিক্ষাবোর্ডের উর্ধতন কর্মকর্তারা ধারণা করছেন বোর্ডের কর্মচারীদের যোগসাজসে ভুয়া চেকের মাধ্যমে এই টাকা আত্মসাত করা হয়েছে।শিক্ষাবোর্ডের সচিব এএমএইচ আলী রেজা বলেন, আমরা কার্যাদেশ অনুযায়ী মালামাল ক্রয় করে থাকি। কিন্তু সোনালী ব্যাংক থেকে পরিশোধিত অর্থের বিপরীতে আমাদের নথিতে কোন বিল-ভাউচার জমা নেই। ভেনার্স প্রিন্টিং এন্ড প্যাকেজিং ইতিপূর্বে আমাদের কিছু মালামাল দিলেও শাহী লাল স্টোরের সাথে কোন লেনদেন যশোর শিক্ষাবোর্ড করেনি।যশোর শিক্ষাবোর্ডের উপ-পরিচালক হিসাব শাখর এমদাদুল হক এ ব্যাপারে বলেন, ২০২০-২১ অর্থবছরের বিভিন্ন মালামাল ক্রয় বাবদ সরকারের ভ্যাটের ১০ হাজার ৩৬ টাকার ৯টি চেক ইস্যু করা হয়। কিন্তু ইস্যুকৃত চেক দিয়েই ভেনাস প্রিন্টিং এন্ড প্যাকেজিং সাতটি ও শাহী লাল স্টোর দুটি চেকের মাধ্যমে বোর্ডের দুই কোটি ৫০ লাখ ৪৪ হাজার ১০ টাকা উত্তোলন করে। গতকাল বৃহস্পতিবার চেকের মুড়ি বইয়ের সাথে ব্যাংকের স্টেটমেন্ট মেলানোর সময় এই জালিয়াতি ধরা পড়েছে আমাদের চোখে। তবে মুড়ি বাইয়ের চেকের অংকের সাথে ইস্যুকৃত চেকের অংকের হিসাব ভিন্ন ভিন্ন।সোনালী ব্যাংক শিক্ষাবোর্ড শাখার ব্যবস্থাপক এসএম শাহিদুর রেজা বলেন, ভেনার্স প্রিন্টিং এন্ড প্যাকেজিং ঢাকার ফকিরাপুল ঠিকানার চেক ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক যশোর শাখার ক্লিয়ারিং চেকের মাধ্যমে এ সব টাকা তুলে নেয়া হয়েছে।যশোর শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান ড. মোল্লা আমীর হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের প্রতিষ্ঠানের চেক প্রিন্টিং করা। সেখানে হাতে লেখার সুযোগ নেই। জালিয়াতি করে ভুয়া চেকের মাধ্যমে এসব টাকা আত্মসাত করা হয়েছে।বিষয়টি নিয়ে আমরা থানায় জিডি করেছি। গঠন করা হয়েছে পাঁচ সদস্যর তদন্ত কমিটি। যার প্রধান কলেজ পরিদর্শন কেএম রব্বানি। কমিটির রিপোর্ট আসার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।দুর্নীতি দমন কমিশন যশোর কার্যালয়ের উপপরিচালক নাজমুচ্ছায়াদাত জনবাণীকে বলেন, বিষয়টি আমরা শুনেছি, রোববার সব নথি তলব করা হবে। সরকারের টাকা আত্মসাতের সাথে যারাই জড়িত হোক না কেন কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।