মাগুরায়
নবনির্মিত ১০ তলা ভবন নিয়ে কুটনৈতিক বুদ্ধি খাটানো
স্টাফ রিপোর্টার ঃ মাগুরা শালিখা উপজেলার সীমাখালীতে ‘নবনির্মিত ১০ তলা
একটি ভবনের পাইলিংয়ের কারণে পাশের আবাসিক পুরাতন ইটের টিনের ভবনে ফাটল
দেখা দিয়েছে এমন অভিযোগ তুলেছেন প্রতিবেশিরা।
তবে নির্মাণাধীন বিল্লাল
টাওয়ার্স এর মালিক বিল্লাল হোসেন’ তিনি বলছেন, তাঁদের অভিযোগ সম্পূর্ণ
ভিত্তিহীন। তাদের অসৎ উদ্দেশ্যে হলো কিছু অর্থ হাতিয়ে নেয়া। কারন আমি
মালয়েশিয়া প্রবাসী। সাম্প্রতিক বহু আলোচিত নবনির্মিত এই বিল্লাল টাওয়ার্স
কে ঘিরে ঘটে চলেছে সিমাখালি এলাকায় প্রতিহিংসার আক্রমনাত্মকতা, ইতিমধ্যে
দুই পক্ষের থেকেই প্রশাসনকে দিয়েছেন অভিযোগ। প্রকাশিত হয়েছে একাধিক
গণমাধ্যমে নিউজ, তবু হয়েছে উভয়ের মধ্যে আপোষ মীমাংসা।
১২ই সেপ্টেম্বর নবনির্মিত ভবনের স্থান থেকে জানা যায়,
বিল্লাল টাওয়ারের নিকটতম
প্রতিবেশী আবাসিক ভবনের দুইবাসিন্দা টিটো ঢালী ও নাজিম উদ্দীন পাটোয়ারীর
অভিযোগ, ১০ তলা নির্মাণাধীন ভবনের প্রকৌশলীকে কয়েকবার বলার পরও ফাটল রোধে
পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেয়নি,তাদের ভবন নির্মাণের কারণে আমাদের ঘরের দেয়ালে
ফাটল ধরেছে।
গত বুধবার ৮ সেপ্টেম্বর সরেজমিনে দেখা যায়, মাগুরা সীমাখালী বাজার এলাকায়
নবনির্মিত ১০ তলা বিল্লাল টাওয়ারের নির্মাণ কাজ চলমান, ইতিমধ্যেই ভবনটির ৫
তলার কাজ শেষের দিকে। উক্ত ভবনটি মাগুরা সীমাখালী মহাসড়ক সংলগ্ন। রাস্তা
বৃদ্ধির জন্য ক্রয় করেছেন জমি তা বাদে অপর প্রতিবেশীর সঙ্গে এই ভবন
নির্মাণে রয়েছে বিরোধ।
এ সময় স্থানীয় জনতাদের মাধ্যমে জানা যায়, ক্লিনিক নির্মাণ করবেন এই
ভবনটিতে। ভবনটির মালিক মালয়েশিয়া প্রবাসী বিল্লাল হোসেন তিনি আনুমানিক
বিশ বছরের অধিক সময় আছেন প্রবাসে।
নির্মাণাধীন ভবনটির নির্মাণ প্রতিষ্ঠানের প্রকৌশলী মিজানুর রহমান “দৈনিক
কালান্তর কে বলেন, ‘ভবনের মূল কাঠামোতে কোনো ফাটল দেখা দেয়নি। তারা যে
ফাটল দেখিয়ে আমাদের নামে অভিযোগ তুলেছেন তা ভিত্তিহীন। আমাদের এই ভবন
নির্মাণের আগে জমি ক্রয় করতে এসে তখনই দেখেছি তাদের পুরাতন বাড়িতে
দেওয়ালে ফাটল চিহ্ন। অতএব আমার জমিতে ভবন নির্মাণের কারণে তাদের ঘরে ফাটল
দেখা দেয়নি। এটা অনেক আগে থেকেই ফাটল ছিল। তারা শুধু শুধু আমাকে বিরক্ত
করছে এবং তাদের অসৎ উদ্দেশ্য টাকা হাসিলের জন্য পাঁয়তারা করে চলছে।
পাইলিংয়ের কারণে পাশের ভবনের যেন ক্ষতি না হয় সে জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা
নেওয়া হয়েছে এবং সেভাবেই পূর্ব প্রস্তুতি অনুযায়ী কাজ শেষ করে চলছি
আমরা।
এদিকে সাংবাদিকদের এক সাক্ষাৎ কারে টিটো ঢালীর বাসায় ভাড়া থাকা মোঃ নুরু
হোসেনের স্ত্রী বলেন, আমরা গত ১০ বছর এই বাসায় ভাড়া থাকি। এই ফাটল আমরা
যখন প্রথমে এই বাসায় ভাড়াটিয়া হিসাবে প্রবেশ করি তখনই দেখতে পাই। এই
ঘরের দেয়াল ফাটা এটা নবনির্মিত ভবন তৈরির পাইলিং এর কারণে ঘটেনি কেউ বললে
সেটা সে ভুল বলছে।
মাগুরা বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তথ্যসূত্রে পাওয়া যায়,
নাজিম উদ্দিন পাটোয়ারী বাদী হয়ে গত ৬/৮/২০১৯ মাগুরা বিজ্ঞ আদালতে ১৪৪/১৪৫
ধারায় অভিযোগ আনেন, বিবাদী পক্ষ ‘বিল্লাল টাওয়ার’ মালিক বিল্লাল হোসেন
এর বিরুদ্ধে। পরবর্তীতে দেখা যায়, বাদীপক্ষ ও বিবাদী পক্ষ,২৮/৮/২০১৯
স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও শালিখা থানার এস আই ফজলুর রহমান এর
উপস্থিতিতে উক্ত মামলাটি আপস এর মাধ্যমে স্থানীয়ভাবে নিষ্পত্তি করে দেন ।
তবে সম্প্রতি বয়ে চলেছে আবার নতুন ইস্যু ‘দেয়ালে ফাটল’। তবে কি কি বিষয়
ঘটে চলেছে।