শনিবার, ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১২:৫৬ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
রাস্তার কাজ না করে টাকা ভাগাভাগি( সওজ) ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সাথে রূপগঞ্জে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে স্বজনদের সংবাদ সম্মেলন মাগুরা গোপালগ্রাম ইউনিয়ন কৃষকদলের উদ্যোগে কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি এ্যাডভোকেট মিথুন রায় চৌধুরী পটুয়াখালী ভার্সিটির, পোস্টগ্রাজুয়েট স্ট্যাডিজ কমিটির সভা।। দুস্থ ও অসহায় মানুষের ভরসা যেন ঝর্ণা মান্নান মেমোরিয়াল ট্রাস্ট সাপাহারে জোর পূর্বক লক্ষাধিক টাকার মাছ উত্তোলন পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলায়, মসজিদের ইমামের গরু লুট।। দুমকি উপজেলায়, গরু লুঠ মামলার ২ আসামি আটক শ্রীনগর থানা থেকে যুবদল নেতাকে ছিনিয়ে নিলো বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা নওগাঁর মান্দায় ভূমিহীন কৃষকদের মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ
Headline
Wellcome to our website...
মাগুরা সদর হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে লিটন হত্যা কেসের প্রধান সাক্ষীরা
/ ২ Time View
আপডেট : বুধবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ২:২৯ অপরাহ্ন

মাগুরা সদর হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে লিটন হত্যা কেসের প্রধান সাক্ষীরা

স্টাফ রিপোর্টার
ঃ মাগুরা সদর উপজেলার হাজরাপুর ইউনিয়নের নন্দলালপুর গ্রামে লিটন হত্যা মার্ডার কেসের স্বাক্ষী না দেওয়ার জন্য, এই কেসের জামিন প্রাপ্ত আসামিরা খুন-জখম করিবার জন্য প্রতিনিয়ত হুমকি ও ভয়ভীতি দেখায়ে আসছিলো।

এরই সূত্র ধরে, (মোং দন্ডবিধির – ১৪৩/৪৪৭/৩৪১/৩২৩/৩২৪/৩২৫/৩২৬/৩০৭/১১৪- ধারা) ঘটনার দিন সোমবার ৩০ আগষ্ট সকাল আনুমানিক সময় ১০.৩০/১১ টার সময় প্রধান সাক্ষী তুষার মাঠ থেকে বাড়ি ফেরার পথে দক্ষিণ মাঠে অবস্থিত নন্দলালপুর জামে মসজিদের পশ্চিম পাশ্ববর্তী মেঠোপথের রাস্তার উপর পৌঁছানোর সাথে সাথে জামিন প্রাপ্ত প্রধান আসামি শরিফুল ইসলাম শরির নেতৃত্বে থাকা জামিনের আসামিগণ চাপাতি, রামদা, ছ্যানদা, লাঠি ও লোহার রড ইত্যাদি মারাত্মক দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে প্রধান সাক্ষী তুষারকে খুন জখমের জন্য তার পথ রোধ করিয়া ঘিরে ধরে।

তখন তুষার বাঁচাও বলে চিৎকার দেয়, তার চিৎকারের আওয়াজ শুনে হাসিবুল, সেলিম, জয়, সুমন ঘটনাস্থলে যাওয়ার সাথে সাথেই শরিফুল ইসলাম শরি চাপাতি দিয়ে তুষারের বামপার্শ্বের মাথায় কোপ দেয়। এরপর আসামি মামুন লোহার রড দিয়ে তুষারের বাম হাতের কনুইতে আঘাত করলে হাতের হাড় ভেঙ্গে যায়। আসামি রিপন ছ্যানদা দিয়ে হাসিবুলের বাম হাতের কব্জি ও বৃদ্ধা আঙ্গুলের রগ কেটে যায়। এরপর হাসিবুল রাস্তায় লুটাইয়া পড়িতেই আসামি কবির চাপাতি দিয়ে কোপ দিলে হাসিবুলের বাম পায়ের মধ্যম আঙ্গুল কাটিয়া পড়ে যায়। আসামি নাজমুল, সিরাজ, মনিরুল রড দিয়ে পিটায়ে হাসিবুলকে মারাত্মক ভাবে জখম করে।

আসামি আকিদুল রামদা দিয়ে হাসিবুলের ভাই সেলিমকে মাথা লক্ষ্য করিয়া কপালের ডানপাশের চোখের ভুরুর উপর কোপ দিলে রক্তাক্ত অবস্থায় হাড় কেটে যায়। আসামি নাসিরুল (নাছো) ছ্যানদা দিয়ে সেলিমের ডান চোখে জখম করে। আসামি মজিদ মিয়া, মুকুল, সাহেব আলী, বাশারুল লোহার রড দিয়ে সেলিমকে পিটাতে থাকে। আসামি আশারুল লোহার রড দিয়ে আঘাত করলে সুমনের ডান হাতের কনুইয়ের হাড় ভেঙ্গে যায় এবং ইছা ও সোনারুল লোহার রড দিয়ে, সুমনের দুই পায়ের উরুতে পিটাতে থাকে। আসামি বিশা ও আমিন উদ্দিন লোহার রড দিয়ে জয়কে পিটাতে থাকে। এরপর আসামীরা তাদেরকে রক্তাক্ত অবস্থায় মেঠো রাস্তার উপর ফেলিয়া আনন্দ উল্লাস করিতে করিতে ঘটনস্থল ত্যাগ করে।

এরপর কিছু সময় পর ঘটনার সংবাদ শুনে জাকির, ছব্দুল শেখ ও নুরো ছুটে দৌড়ায়য়া এসে (সাক্ষীদেরকে) তুষার, হাসিবুল, সেলিম, সুমন ও জয়কে গুরুতর জখম ও রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে দ্রুত ভর্তি করে। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক বলেন, প্রধান সাক্ষী তুষার ও সেলিম এর অবস্থা আশঙ্কা জনক যে কোন মূহুর্তে রোগী মারা যেতে পারে।

এ বিষয়ে ৩০ আগষ্ট সন্ধ্যায় মাগুরা থানায় লিখিত এজাহার দায়ের করিলেও ওসি জয়নাল আবেদীন মাগুরা থানায় মামলা নেয় নাই। এই ঘটনার বিষয়ে হাজরাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কবির হোসনকে মুঠোফোন কথা বললে তিনি বলেন, ঘটনাটি আমি শুনেছি এবং শোনামাত্রই আমি মাগুরা সদর হাসপাতালে আহত জখমী রোগীদের দেখতে যায়। মাগুরা জজ কোর্ট আসামীদের Cognizance ওসি মাগুরা থানাকে ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১৫৬(৩) ধারার বিধান মোতাবেক মামলাটি এজাহার হিসাবে গণ্য করার বিহীত আদেশ মানে মর্জি হয়।



আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
Our Like Page