মোঃ রনি আহমেদ রাজু ক্রাইম রিপোর্টার
পূর্ব পরিচয়ের সূত্র ধরে রংপুর কারাগারের এক সাবেক কর্মকর্তাকে ফাঁদে ফেলে প্রতারণা ও অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে আনিকা তাসনিম ওরফে অনামিকা সরকার নামের এক ভুয়া নারী ম্যাজিস্ট্রেটকে গ্রেফতার করেছে পিবিআই। দুপুরে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানালেন পিবিআই রংপুরের পুলিশ সুপার এবিএম জাকির হোসেন সাহেব।আরো জানান, দুই আগস্ট নগরীর সিও বাজারের বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন রংপুর কারাগারের সাবেক সার্জেন্ট ইন্সট্রাক্টর আনজু মিয়া। ওই ঘটনায় তার স্ত্রী কোতোয়ালি থানায় জিডি করেন জিডির সূত্র ধরে তিন আগস্ট আনজু মিয়াকে নগরীর ডিসির মোড়ের সুস্থ জীবন নামে একটি মাদক নিরাময় কেন্দ্র থেকে উদ্ধার করে পিবিআই রংপুর।
তার কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে চার আগস্ট রাতে ভুয়া ম্যাজিস্ট্রেট আনিকা তাসনিম ওরফে অনামিকা সরকারকে দিনাজপুরের নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয় তাকে।পুলিশ সুপার জানান, আনজু মিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসে ভুয়া ম্যাজিস্ট্রেট আনিকা তাসনিম ওরফে অনামিকা সরকার ও তার চক্রের বিষয়ে নানা প্রকার তথ্য। প্রায় ছয় মাস আগে সৈয়দপুর থেকে বিমানে ঢাকায় যাওয়ার সময় আনজু মিয়ার সঙ্গে পরিচয় হয় অনামিকার। ওই সময় অনামিকা নিজেকে দিনাজপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয় দেন।
তিনি আরো জানান, ২ আগস্ট সকালে অনামিকা মোবাইলে আনজু মিয়াকে রংপুর জিলা স্কুলের সামনে ডেকে নেন। আনজু মিয়া সেখানে গিয়ে দেখতে পান অনামিকা একটি নোয়া গাড়িতে বসে আছেন ওই সময় গাড়ির দিকে এগিয়ে গেলে দুই থেকে তিন জন লোক গাড়ি থেকে নেমে আনজুকে জোরপূর্বক গাড়িতে তুলে ডিসি মোড়ে সুস্থ জীবন মাদক নিরাময় কেন্দ্রে নিয়ে যায়। এরপর তার কাছ থেকে ৪৪ হাজার ২৫০ টাকা, হাতঘড়ি, স্বর্ণের আংটি, ড্রাইভিং লাইসেন্স ছিনিয়ে নেয় বলে জানান আনজু।ওই সময় আনজু মিয়া তাদের কাছে জানতে চান কেন তাকে সেখানে নেয়া হয়েছে লোকগুলো জানায়, ম্যাজিস্ট্রেট অনামিকার অনুরোধে তাকে মাদক নিরাময় কেন্দ্রে নেয়া হয়েছে। এরপর টাকা ও জিনিসপত্র নিয়ে গাড়িসহ লাপাত্তা হয়ে যান অনামিকা ।
এবিএম জাকির হোসেন জানান, তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে আনজু মিয়াকে উদ্ধার ও ভুয়া নারী ম্যাজিস্ট্রেট আনিকা তাসনিম ওরফে অনামিকা সরকাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রতারক অনামিকা সরকার ও তার চক্রের সদস্যরা নানা ছদ্মবেশে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করছিল তাদের নামে বিভিন্ন থানায় মামলা আছে।