মোঃ রনি আহমেদ রাজু ক্রাইম রিপোর্টার
একাধিক সময়ে বিএনপি এবং চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করে দলের অভ্যন্তরে সমালোচিত হয়েছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন।
সর্বশেষ এক বেসরকারি টিভি চ্যানেলে খালেদা জিয়াকে গৃহিণী বলে আখ্যায়িত করার পর থেকে বিএনপির সিনিয়র নেতাদের তোপের মুখে পড়েন।
বর্তমানে দল থেকে দূরে আছেন এরশাদের শাসনামলে উপপ্রধানমন্ত্রী হওয়া এ নেতা। সে সময় গুঞ্জন উঠেছিল বিএনপি ছাড়তে পারেন শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন। তবে এরশাদের মৃত্যুর দুই বছর পর সেই গুঞ্জন নতুন করে ডালপালা মেলতে শুরু করেছে।বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মোয়াজ্জেম হোসেনের এক ঘনিষ্ঠজন তার জাতীয় পার্টিতে ফিরে যাওয়ার গুঞ্জনের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, দলের অভ্যন্তরে থেকে বারবার দলের বিরুদ্ধাচরণ তো মেনে নেয়া যায় না।এ কারণে বিএনপির নীতিনির্ধারণী কমিটি থেকে শাহ মোয়াজ্জেম হোসনকে সাবধানে কথা বলার অনুরোধ করা হয়েছে। আর এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে মোয়াজ্জেম হোসেন দলীয় কর্মকাণ্ড থেকে নিজেকে দূরে রাখার সিদ্ধান্ত নেন।
এ বিষয়ে মোয়াজ্জেম হোসেনের এক আইনজীবী বলেন, প্রয়াত জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ মোয়াজ্জেম হোসেনেকে রাজনীতির লাইম লাইটে এনেছিলেন। এরশাদ না থাকায় জাতীয় পার্টির নেতৃত্ব সংকট দেখা দেয়ার শঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে।
এছাড়া বিএনপি প্রসঙ্গে সত্য বলায় তাকে দলের অভ্যন্তরে নানা অপমান সহ্য করতে হয়েছে। যার কারণে মোয়াজ্জেম হোসেন এক ঢিলে দুই পাখি মারতে চান। তিনি আরো বলেন, নানা মুখে বিএনপি ছেড়ে জাতীয় পার্টিতে যোগ দিয়ে তার পুরনো নীড়ে ফিরতে চান শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন।জাতীয় পার্টি করে ক্ষমতার আশেপাশে থাকার সুযোগ হবে বলে মনে করছেন মোয়াজ্জেম হোসেন। মূলত এ কারণেই বিএনপি ছাড়ার কথা ভাবছেন তিনি।এ বিষয়ে মোয়াজ্জেম হোসেনের ঘনিষ্ঠ এক আত্মীয় বলেন, মোয়াজ্জেম হোসেন বিএনপির জন্য এত কিছু করেও উপযুক্ত মর্যাদা পাচ্ছেন না। বিষয়গুলোতে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন তিনি। তাই তিনি জাতীয় পার্টিতে যোগ দিতে চাচ্ছেন, এমন গুঞ্জন আমিও শুনেছি।জাতীয় পার্টির সঙ্গে তার রাজনৈতিক সম্পর্ক আগে থেকেই ভালো। এরশাদের অবর্তমানে জাতীয় পার্টিতে যোগ দিলে অবশ্য তিনি জাতীয় পার্টির হাল ধরতে পারবেন।এদিকে ১৪ জুলাই শাহ মোয়াজ্জেম হোসেনকে জাতীয় পার্টিতে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব দিয়ে জাতীয় পার্টির একজন প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেন, এরশাদ সাহেবের মরার পর থেকে জাতীয় পার্টিতে হাহাকার বিরাজমান। আপনি আপনার ঘরে ফিরে আসুন। আপনাকে সম্মান ও মর্যাদা দেয়া হবে। বিএনপিতে আর কত অপমানিত হবেন?