শনিবার, ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০২:৪৫ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
রাস্তার কাজ না করে টাকা ভাগাভাগি( সওজ) ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সাথে রূপগঞ্জে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে স্বজনদের সংবাদ সম্মেলন মাগুরা গোপালগ্রাম ইউনিয়ন কৃষকদলের উদ্যোগে কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি এ্যাডভোকেট মিথুন রায় চৌধুরী পটুয়াখালী ভার্সিটির, পোস্টগ্রাজুয়েট স্ট্যাডিজ কমিটির সভা।। দুস্থ ও অসহায় মানুষের ভরসা যেন ঝর্ণা মান্নান মেমোরিয়াল ট্রাস্ট সাপাহারে জোর পূর্বক লক্ষাধিক টাকার মাছ উত্তোলন পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলায়, মসজিদের ইমামের গরু লুট।। দুমকি উপজেলায়, গরু লুঠ মামলার ২ আসামি আটক শ্রীনগর থানা থেকে যুবদল নেতাকে ছিনিয়ে নিলো বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা নওগাঁর মান্দায় ভূমিহীন কৃষকদের মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ
Headline
Wellcome to our website...
ঈদের পর তৈরি পোশাক কারখানা খোলা-বন্ধ নিয়ে সংশয়
/ ২ Time View
আপডেট : রবিবার, ১৮ জুলাই, ২০২১, ৩:৫৩ পূর্বাহ্ন

 

ঈদের
পর তৈরি পোশাক কারখানা খোলা-বন্ধ নিয়ে সংশয়

পোশাক কারখানা খোলা-বন্ধ নিয়ে কাটছে না সংশয়

ঈদের
পর তৈরি পোশাক কারখানা খোলা-বন্ধ নিয়ে সংশয় কাটছে না। গতকাল শনিবার
‘লকডাউনে পোশাক কারখানা বন্ধ থাকবে’ জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রীর এমন মন্তব্যে
আবারও উৎকণ্ঠায় পড়েছেন এ খাতের উদ্যোক্তারা। উদ্যোক্তাদের আশা, ঈদের ছুটি
সংক্ষিপ্ত করা হবে এবং লকডাউনের সময় আগের মতোই বস্ত্র ও পোশাক কারখানা খোলা
রাখার সিদ্ধান্ত নেবে সরকার। পোশাক খাতের উদ্যোক্তাদের সঙ্গে কথা বলে এসব
তথ্য জানা গেছে।

উদ্যোক্তারা বলেন, সরকার পোশাক ও বস্ত্র খাতের চাওয়া-পাওয়ার বিষয়ে
অত্যন্ত আন্তরিক। এর আগে তাঁরা যা চেয়েছেন, তা পেয়েছেন। ফলে তাঁরা
বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের প্রভাব থেকে ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু
করেছেন। এদিকে ঈদের লম্বা ছুটি তাঁদের আবারও বড় ধরনের সংকটে ফেলে দেবে।
ছুটি সংক্ষিপ্ত করা না হলে পোশাক খাতের জন্য ভয়াবহ সংকট তৈরি হবে বলে
তাঁদের আশঙ্কা।

গতকাল চুয়াডাঙ্গায় জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের ‘লকডাউনে পোশাক
কারখানা বন্ধ থাকবে’ এমন মন্তব্যকে ব্যক্তিগত অভিমত বলে মনে করেন
উদ্যোক্তারা। এ বিষয়ে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে আলোচনা চলছে। উদ্যোক্তাদের আশা,
আজ রবিবার সরকারি ছুটি শেষে ইতিবাচক বার্তা আসবে।

উদ্যোক্তারা বলেন, সদ্যোবিদায়ি অর্থবছরে পোশাক রপ্তানিতে এ খাত ভালো
করেছে। ভারত, ভিয়েতনাম ও মিয়ানমারের পোশাক ক্রেতাদের কিছু অংশ বাংলাদেশে
আসছে এবং নতুন অর্ডার দিচ্ছে। এ সময় কারখানা দীর্ঘ মেয়াদে বন্ধ থাকলে শীত
মৌসুমের কার্যাদেশ হারানোর আশঙ্কা রয়েছে। এ ছাড়া ডিসকাউন্টে (ছাড়ে) বা
উড়োজাহাজে তাদের পণ্য পাঠাতে হতে পারে। এ জন্য তাঁদের বড় ধরনের সংকটে পড়তে
হতে পারে বলে তাঁরা আশঙ্কা করছেন।

জানতে চাইলে তৈরি পোশাক খাতের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএর সহসভাপতি মো.
শাহীদউল্লা আজিম কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘ছুটি সংক্ষিপ্ত করা নিয়ে সরকারের উচ্চ
পর্যায়ে আলোচনা চলছে। এটা করা না হলে দেশের পোশাক খাত বড় ধরনের সংকটে
পড়বে। আমাদের আশা, আজ রবিবার সরকারের কাছ থেকে একটা ইতিবাচক বার্তা পাওয়া
যাবে।’

এর আগে গত বৃহস্পতিবার জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক শেষে
বিজিএমইএর সভাপতি মো. ফারুক হাসান গণমাধ্যমকর্মীদের বলেছিলেন, তাঁরা
আশাবাদী, সরকার পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে কঠোর লকডাউনকালে আগের মতোই বস্ত্র ও
পোশাক কারখানা খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেবে। কারণ শিল্প-কারখানা খোলা রাখা
না হলে অর্থনীতিতে মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়বে এবং গতকাল একটি ইতিবাচক
সিদ্ধান্ত পাওয়ার অপেক্ষায় ছিলেন তিনি।

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী গতকাল চুয়াডাঙ্গায় এক অনুষ্ঠানে
গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, পবিত্র ঈদুল আজহার পর ২৩ জুলাই সকাল ৬টা থেকে ৫
আগস্ট পর্যন্ত কঠোর লকডাউনে গার্মেন্টসহ সব ধরনের শিল্প-কারখানা বন্ধ
থাকবে।

বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, আগামী লকডাউনে পোশাক কারখানা বন্ধ
থাকবে—এ তথ্য আন্তর্জাতিক মিডিয়াসহ বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রচারের কারণে
ব্র্যান্ড এবং ক্রেতারা আবার রপ্তানি আদেশ কমিয়ে দিতে শুরু করেছেন।

আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
Our Like Page