ভারতের
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরকে কেন্দ্র করে নজিরবিহীন নিরাপত্তা
ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
ছবি : সংগৃহীত
বঙ্গবন্ধুর
জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর উদযাপনে অংশ নিতে ভারতের
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরকে কেন্দ্র করে নজিরবিহীন নিরাপত্তা
ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। শুক্রবার সকালে ঢাকায় আসবেন মোদি। তিনি
গোপালগঞ্জ এবং সাতক্ষীরায়ও যাবেন। সফরে ঢাকার সোনারগাঁও হোটেলে অবস্থান
করবেন তিনি। শনিবার দেশে ফিরে যাবেন মোদি।
ভারতের প্রধানমন্ত্রীর
সফর কেন্দ্র করে যাতে কেউ সাইবার জগতে বিভ্রান্তিকর পোস্ট দিতে না পারেন- এ
ব্যাপারেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাইবার ইউনিট তৎপর।
জানা
গেছে, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অন্তত ২৫ হাজার সদস্য মোদির
নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবেন। সাদা পোশাকে বিশেষ দায়িত্ব পালন করবেন অনেকে।
র্যাবের
আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ বলেন, মোদির সফর
ঘিরে পোশাকের পাশাপাশি সাদা পোশাকে র্যাবও দায়িত্ব পালন করবে। পাশাপাশি
ফেসবুকসহ সাইবার জগতেও সার্বক্ষণিক নজর রাখা হবে। কেউ বিভ্রান্তিকর পোস্ট
দিলেই তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনে কোনো ধরনের নাশকতার আশঙ্কা নেই বলে জানান
লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ। মোদির আগমনের বিরোধিতা করে সভা-সমাবেশ না করার
অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, র্যাব এসব তৎপরতা কঠোরভাবে মনিটর করছে। দেশের
ভাবমূর্তির স্বার্থে এসব থেকে বিরত থাকার জন্য সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ করেন
তিনি।
এছাড়া গোপালগঞ্জ ও সাতক্ষীরায় নেওয়া হয়েছে নিশ্ছিদ্র
নিরাপত্তা ব্যবস্থা। পুলিশ-র্যাব সদস্য ছাড়া প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্ট
(পিজিআর), স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ) সদস্যরাও নিয়োজিত থাকবে। সফর
উপলক্ষে অস্থায়ী হাসপাতালও নির্মাণ করা হয়েছে। এরই মধ্যে কয়েক দফায়
আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা গোপালগঞ্জ ও
সাতক্ষীরা সফর করে নিরাপত্তার খুটিঁনাটি বিষয় পর্যবেক্ষণ করেন।
এদিকে
এরই মধ্যে ঢাকা মহানগর পুলিশের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়-ভিভিআইপিদের
চলাচলের জন্য ২৬ ও ২৭ মার্চ রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ও প্রধান সড়কে
যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ এবং কিছু কিছু সময়ের জন্য বন্ধ থাকবে।