মাদারীপুরে ইজারাকৃত বালু মহাল থেকে বিএনপির নাম ব্যবহার করে জোর পূর্বক বালু পাচার; প্রশাসনের অভিযানেও থামছেনা
মীর ইমরান-মাদারীপুরঃ
মাদারীপুরের শিবচরে আড়িয়াল খা নদীর পাড়ে ইজারাকৃত বালু মহাল থেকে বালু উত্তোলন করে পাচারের অভিযোগ উঠেছে।
শিবচর উপজেলার নিলখী ইউনিয়নের কাওয়ারহাট নামক স্থানে একটি ইজারাকৃত বালু মহাল থেকে জোর পূর্বক অবৈধভাবে ভ্যাকূ দ্বারা বালু উত্তোলন করে তা মাহিন্দ্র ট্রাকটার দিয়ে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে চরাদামে বিক্রি করছে মোকলেস হাওলাদার, নির্দেশে তার আপন ভাই বাচ্চু হাওলাদারসহ এলাকার কিছু আ’লীগের প্রভাবশালী লোকজন।
এ বিষয়ে জানতে গেলে সাংবাদিকদের কাছে এমনই অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার নিলখী ইউনিয়নের কাওয়ারহাট চর কামারকান্দি নামক স্থানে আড়িয়াল খা নদের তীরে সরকারীভাবে ইজারাকৃত একটি বালু মহাল থেকে প্রতিদিন শত শত ট্রাক বালু বিক্রি করছে মাধ্যমে বালু খনন করে নিয়ে যাচ্ছে একটি চক্র। সেই বালু বিভিন্ন স্থানে নিয়ে বিক্রি করছে চক্রটি। পেশিশক্তির প্রভাব খাটিয়ে এবং বিএনপির নাম ভাঙিয়ে ওই বালু মহাল থেকে বালু নিয়ে বিক্রি করছে মোকলেছ হাওলাদার ও তার বালু খেকো বাহিনী।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে,পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে ভাঙনরোধে আড়িয়াল খা নদী খনন কাজ করা হয় এ সময় নদী থেকে প্রচুর পরিমাণ বালু উত্তোলন করা হয় ।
সেই বালু টেন্ডারের মাধ্যমে বিক্রি করে রাষ্ট্রীয় অর্থ বিদ্ধিকরে । উপজেলার প্রায় ১৭টি স্থানে ওই বালু মহাল রয়েছে। যা ইজারার মাধ্যমে বিভিন্ন জনের কাছে বিক্রি করা হয়। মোখলেছ হাওলাদার নামের একটি কুচক্র মহল ওই মহাল থেকে চুরি করে বালু বিক্রি করছে বলে এলাকাবাসী অভিযোগ করেন। মহালটিতে প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকার বালু রয়েছে বলে জানান উপজেলা প্রশাসন।
নাম প্রকাশে অনইচ্ছুক এলাকার এক গন্যমান্য ব্যক্তি জানান, বাচ্চু হাওলাদার তার পেশির শক্তি ব্যবহার করে অন্যের ইজারাকৃত বালু মহাল থেকে জোরপূর্বক বালু কেটে নিচ্ছে। প্রতিদিন শত শত মাহিন্দ্র,ট্রাক ভর্তি বালু ওই মহাল থেকে জোর করে কেটে বিক্রি করছে চক্রটি। এটার একটি সমাধান না হলে,ওই মহাল থেকে প্রচুর পরিমাণে বালু কেটে শেষ করে নিবে চক্রটি এতে ক্ষতিগ্রস্ত হবে ঠিকাদারা ।
ঐ চক্রের ভালো উত্তোলনকারী বাচ্চু হাওলাদার জানান,বালু মহাল থেকে আমরা কোন বালু বিক্রি করছি না। বর্ষা ও বৃষ্টিতে মহাল থেকে কিছু বালু পাশের ফসলী জমিতে নেমে আসে। তখন ওই জমির মালিকরা ফসলী জমি থেকে উক্ত বালু তুলে নিতে ইজারাদারদের জানান। এ বিষয় কেউ কর্ণপাত না করায়, জমির মালিক ফসল ফলানোর জন্য যার যার জমির উপর থেকে বালু উঠিয়ে আমার কাছে বিক্রি করছে।
শিবচর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান,পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে নদী খননের কাজ করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এর পর উত্তোলন করা হয় বালু আর বালুগুলো মহাল করে টেন্ডারের মাধ্যমে বিক্রি করা হয় নদী ভাঙনরোধে আড়িয়াল খা নদ থেকে বালু খনন করার পর উপজেলার ১৭টি স্থানে বালু মহাল সরকারীভাবে ইজারার মাধ্যমে বিক্রি করেছে সরকার। মোকলেছ হাওলাদার নামের এক ব্যক্তি মাধ্যমে কুচক্র মহল ওই মহাল থেকে চুরি করে বালু বিক্রি করছে। এ বিষয় পুলিশ ও সেনাবাহিনীকে সাথে নিয়ে ওই স্থানে অভিযান চালানো হয়েছে। অভিযান অব্যাহত থাকবে।