মাগুরাতে
হঠাৎ করে ইটভাটা ভাংচুরের অভিযান
মোঃ মঞ্জুর হোসেন জেলা প্রতিনিধি
মাগুরা সদর উপজেলার বাগবাড়িয়া গ্রামে আনুমানিক ৩০থেকে৩৫ টা ইট ভাঁটা
ভাঙচুর করা হয়েছে । বৃহস্পতিবার ২৪ ডিসেম্বর সকাল ১০ টার সময় খুলনা ও যশোর
থেকে আসা পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারী নির্বাহি ম্যাজিষ্ট্রেট
সহ ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে পুলিশ বাহিনী,
আনসার ব্যাটালিয়ন ও
ফায়ারসার্ভিস বাহিনীর সমন্বয়ে অবৈধ ইট ভাঁটা ভাঙ্গার অভিযান পরিচালনা করা
হয়। অভিযানে এম এস কে বি ভাটা -মালিক মাজেদুল বিশ্বাস, এম এস বি এফ ভাটা-
মালিক সুমন খান, এম এম বি ভাটা মালিক মোঃ শিপন মিয়ার ইট ভাঁটা সহ আরোও বেশ
কিছু ভাঁটার চিমনি ও তৈরী কৃত কাঁচা ইট গুলোকে ট্রাক্টর এবং এক্সিভেটর
গাড়ি দ্বারা ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেওয়া হয়। এস কে বি ইট ভাঁটার মালিক মাজেদুল
বিশ্বাস কেঁদে কেঁদে বলেন আমার সব কিছু শেষ হয়ে পথের ফকির হয়ে গেলাম। কেঁদে
কেঁদে সাংবাদিকদের অবগত করে বলেন, আমার চিমনীসহ ভাটার পোড়ানো ইট ভাঙ্গেছে
তাতে আমার দুঃখ নেই। তবে আমার ভুমিতে থাকা তৈরি কৃত কাঁচা ইট গুলো ভাঙ্গার
কারণে আমি নিঃস্ব হয়ে গেলাম। আমার ক্ষতির পরিমাণ আনুমানিক ৮০থেকে৯০ লক্ষ
টাকা। একই কথা এম এস বি এফ ভাটার মালিক মোঃ সুমন খান ও এম এম বি ভাটার
মালিক মোঃ শিপন মিয়া একই কথা সাংবাদিক দের বলেন আমাদের সব শেষ হয়ে গেলো।
আমাদেরও ক্ষতির পরিমাণ ১ কোটি টাকার উপরে। এবং নাম না জানা আরও অনেক ইট
ভাঁটা মালিকের ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে, তাদেরও ক্ষয় ক্ষতির পরিমাণ
আনুমানিক প্রায় ১ কোটি টাকা। ইট ভাঁটার মালিকেরা বলেন আমরা ডিসি অফিসে
এলার ফান্ডে এক লক্ষ পঞ্চাশ(১৫০০০০) হাজার টাকা করে জমা দেই। এবং উপজেলাতে
ইউএনও অফিসে পঞ্চাশ হাজার (৫০০০০) টাকা দেওয়ার পর মাগুরা জেলায় সমস্ত
ইটভাটার মালিকেরা ইট ভাটা পরিচালনা করেন। বিনা নোটিশে হঠাৎ করেই ইট ভাটার
ব্যাপক ভাঙ্গচুর করে তারা কোটি কোটি টাকার ক্ষয় ক্ষতি করেছেন। তারা বললেই
তো আমরা ইটভাটা গুলি পরিচালনা করিনা, কিন্তু ডিসি অফিস ইউএনও অফিস
আমাদের কাছ থেকে তারা এলার ফান্ডে লক্ষ লক্ষ করে কোটি টাকা নিয়েও আমাদের
ইটভাটা গুলি বিনা নোটিশে ভাঙচুর করে গেছেন। সর্বশেষে কেঁদে-কেঁদে ইটভাটার
মালিকেরা বলেন আল্লাহ যেন তাদের বিচার করেন।