ইমামের কাছে গিয়ে ‘বিয়ের’ পর ধর্ষণের অভিযোগে পুলিশ সদস্য গ্রেফতার।
ইমামের কাছে গিয়ে ‘বিয়ের’ পর ধর্ষণের অভিযোগে পুলিশ সদস্য গ্রেফতার।
অনেক অনেক ধন্যবাদ বাংলাদেশের আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অপরাধী যেই হোক থাকে ছাড় দিচ্ছেন না।
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় এক নারীর দায়ের করা ধর্ষণের মামলায় আব্দুল কুদ্দুছ নয়ন নামে এক পুলিশ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৮ অক্টোবর) ভোরে রাজারবাগ পুলিশ লাইনস থেকে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতারের পর দুপুরে আদালতে পাঠিয়েছে।
গ্রেফতারকৃত আব্দুল কুদ্দুছ নয়ন রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে পরিবহন বিভাগে কনস্টেবল পদে কর্মরত ছিলেন। তার বাড়ি ভোলা জেলার চরফ্যাশন থানার চরমঙ্গল গ্রামে।
এর আগে বুধবার রাতে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানার মিজমিজি পশ্চিমপাড়া এলাকার বিউটিপার্লার ব্যবসায়ী এক নারী নয়নের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন। ওই নারীর স্বামীর সাথে বনিবনা না হওয়ায় বিবাহ বিচ্ছেদ হয় তাদের। ওই সংসারে তার দুটি সন্তান (একছেলে ও একমেয়ে) রয়েছে।
মামলার এজাহারে ওই নারী জানান, গত দুই বছর আগে ফেসবুকের মাধ্যমে পুলিশ সদস্য আব্দুল কুদ্দুস নয়নের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। পরে তাদের মধ্যে প্রেম ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে উঠে। নয়ন প্রায় সময় তার বাসায় আসা যাওয়া করতেন। এ অবস্থায় বিয়ের ব্যাপারে কথা বলবে বলে গত ৬ অক্টোবর বিকেলে পুলিশ কনস্টেবল নয়ন তার বাসায় আসেন। পরে তাকে ধর্ষণ করেন। এ ঘটনায় ৭ অক্টোবর রাতে ওই নারী সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় বাদী হয়ে নয়নের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। এর আগেও নয়ন তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করেছেন এবং পরবর্তীতে বিয়ের কথা বললে নানাভাবে কালক্ষেপন করতে থাকেন বলেও মামলায় ওই নারী অভিযোগ করেন।
তবে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ফারুক দাবি করেন, মসজিদের ইমামের মাধ্যমে ধর্মীয় নিয়ম অনুযায়ী ওই নারীর সাথে পুলিশ কনস্টেবল নয়নের বিয়ে হয়েছে। তবে বিয়ের কাবিন বা রেজিস্ট্রি করা হয়নি। যার কারণে ওই নারী নয়নকে রেজিস্ট্রি ও কাবিন করাতে চাপ প্রয়োগ করেন। নয়ন সেটি নিয়ে কালক্ষেপন করায় তিনি মামলার আশ্রয় নেন।
পুলিশের এ কর্মকর্তা জানান, বাদীর সাথে কথা বলে এবং তদন্ত করে এই বিষয়টি প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
এ ব্যাপারে জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, নারীর অভিযোগ আমলে নিয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা গ্রহণের পর প্রাথমিক তদন্তে সত্যতা পেয়ে পুলিশ আসামি নয়নকে গ্রেফতার করেছে। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
তিনি বলেন, অপরাধী যেই হোক পুলিশ তাকে অপরাধী হিসেবেই দেখবে। কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। পুলিশ অপরাধ করলে তাকেও আমরা ছাড় দেব না। অপরাধ করলে তার শাস্তি পেতেই হবে। আমরা এ ব্যাপারে অত্যন্ত কঠোর অবস্থানে আছি।
আপনার মতামত লিখুন :
Leave a Reply
More News Of This Category