মাগুরার মহম্মদপুরে চলছে রমরমা অবৈধ বালু ব্যবসা
নিজস্ব প্রতিবেদক :সরকার কর্তৃক ইজারাকৃত কোন বালু মহল না থাকলেও মাগুরার মহম্মদপুরে হরহামেশাই চলছে অবৈধ বালু ব্যবসা। অদৃশ্য কারণে স্থানীয় প্রশাসনের নীরব ভূমিকা লক্ষ্য করা গেছে। স্থানীয়রা বলছেন বালু ব্যবসায়ীরা প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে কথা বললে হয়রানির শিকার হতে হয়। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় উপজেলার শিরগ্রাম বাজার সংলগ্ন মধুমতি নদীর খেয়া ঘাটের পাশে সরকারি খাস জমি দখল করে অবৈধ বালু স্তুপ করে বিক্রি করছে মেশকো, ইশারত, সেলিম, আরিফ নামের কয়েকজন বালু ব্যবসায়ী । মহম্মদপুর মধুমতি ব্রিজের নদীর এপার ওপার মিলিয়ে এবং ব্রিজের উত্তর পাশে অবৈধ বালু পাহাড় সমান স্তুপ করে সাবেক মহম্মদপুরের চেয়ারম্যান আক্তার, ও পলাশ দুজনে অবৈধ বালু বিক্রি করছে এবং মহম্মদপুর ব্রিজের আশে পাশে তিনটি স্থানে,ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু স্তুপ করতে দেখা গেছে। এছাড়া উপজেলার কাশিপুরে স্তুপ কৃত বালু উত্তোলন করছে বাবুল ও অবৈধ ড্রেজার মালিক জহির। রায়পাশা গ্রামে অবৈধ স্তুপকৃত বালু বিক্রি করতে দেখা গেছে এবং মহম্মদপুরের ৬ থেকে ৭ টি স্থানে অপরিকল্পিতভাবে এবং পারমিশন বিহীন জায়গায় স্তপকৃত বালু ভারি যানবাহন দিয়ে পরিবহন করার কারণে নষ্ট হচ্ছে এলাকার রাস্তাঘাট। ঘটছে দুর্ঘটনা। মাটি বালি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ এর ৬২ নং আইনের ১৬ ধারা মোতাবেক বালু স্তুপ করতে হলে ঠিকাদারকে তার নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় জেলা মাটি, বালি কমিটির অনুমোদিত স্থানে স্তুুপ করতে হবে। কিন্তু মহম্মদপুরের বালু ব্যবসায়ীরা দেশের প্রচলিত এ আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে তাদের অবৈধ বালু ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। এতে করে এক দিকে রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার, অন্যদিকে অপরিকল্পিত স্থানে স্তুপকৃত বালু ভারী যানবাহন দিয়ে পরিবহনের সময় নষ্ট হচ্ছে রাস্তা। অনুমোদনহীন গাড়ি দিয়ে পরিবহনের সময় ঘটছে দুর্ঘটনা। এমন পরিস্থিতিতে শিক্ষা তথ্য টেলিভিশন কে বলেন অবৈধ বালু ব্যবসা বন্ধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চান সচেতন এলাকাবাসী। এ বিষয়ে জানতে চাইলে মহম্মদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পলাশ মন্ডল মুঠোফোনে জানান, উপজেলার বেশ কয়েকটি স্থানে বালু উত্তোলন করে স্তুপ করা হচ্ছে এমন অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগের প্রেক্ষিতে সহকারি কমিশনার ভূমি মহম্মদপুর বাসুদেব কুমার মালোকে পাঠিয়েছি। অভিযুক্তের বালির স্তুপে অভিযান পরিচালনা করে মাটি বালি ব্যবস্থাপনা আইনে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। উপজেলার কোথাও অবৈধ বালু উত্তোলন অথবা স্তুপ করার অভিযোগ পেলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান স্থানীয় প্রশাসনের এই কর্মকর্তা।