খলিলুর রহমান খলিল, নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার সয়র ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আল ইবাদত হোসেন পাইলটের বিরুদ্ধে।
রোববার (৭ এপ্রিল) স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে উপকারভোগিদের মাঝে চাল বিতরণ কালে এই অনিয়মের ঘটনা ঘটে। দুস্থদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর দেয়া উপহারের চাল বিতরণে এমন দুর্নীতি দেখে এলাকায় চরম অসন্তোষ সৃষ্টি হয়। ভুক্তভোগীরা এই ঘটনা সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
জানাগেছে, পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার হিসেবে সয়র ইউনিয়নের ২৫৯২ জন হতদরিদ্র নারী-পুরুষের জন্য ২৫.৯২০ মেট্রিকটন চাল বরাদ্দ দেয় তারাগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন। যা ৭ এপ্রিল বিতরণের দিন-তারিখ নির্ধারণ করা হয়। নির্ধারিত সময় চাল বিতরণ কালে প্রতিজন সুবিধা ভুগির ১০ কেজি চালের মধ্যে ১ থেকে দেড় কেজি করে চাল কম দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় প্রতি পাঁচ জন সুবিধাভোগীর সিলিপ একখানে করে একজনের কাছেই নেয়া হচ্ছে পাঁচ জনের টিপসই , একজনের হাতেই দেয়া হচ্ছে পাঁচ জনের চাল। চাল কম দেয়ার বিষয়টি জানার আগ্রহ থেকেই বুড়িরহাট বাজারের এক দোকানের ওজন পরিমাপক যন্ত্রটি নিয়ে প্রতিবেদক একের পর এক সুবিধাভোগীকে ডেকে মাপতে শুরু করেন প্রধানমন্ত্রীর দেয়া উপহারের চাল, আর তাতেই বোঝা যায় পাঁচজনের ৫০ কেজি চালের মধ্যে দেয়া হচ্ছে ৩৯ থেকে ৪১ কেজি। একজন ভুক্তভোগী কে ১ কেজি করে চাল কম দিলেও ২৫৯২ জন ভুক্তভোগীর চাল দাঁড়ায় ২৫৯২ কেজি।
সয়ার ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সুবিধাভোগীদের মধ্যে একজন আবু নাসের তিনি বলেন, ভাই সরকার বছরে দুই ঈদত দশ কেজি করি চাউল দেয়। তাও আবার এক কেজি করি কম দেওছে। আর কাক বিশ্বাস করমো?
চাল বিতরণে দায়িত্ব থাকা ট্যাগ অফিসার উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা আবুল কাশেমের কাছে চাল কম দেয়ার বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি দেখতেছি চাল বিতরণ হচ্ছে কিনা, চাল কম দিচ্ছে কিনা সেটা আমার দেখার বিষয় না।
এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান আল ইবাদত হোসেন পাইলটের সাথে কথা হলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন, তারাগঞ্জে আরো অনেক জায়গায় দুর্নীতি হয় আপনারা সাংবাদিকরা সেখানে যান না আসেন শুধু আমরা চেয়ারম্যানরা চাল বিতরণ করতেছি কিনা চাল কম দিচ্ছি কিনা সেগুলো দেখতে এগুলো দেখা বাদ দিয়ে অন্য কিছু করেন।