সবাই মিলে লাগাই বৃক্ষ, ২ ঘন্টায় ৩ লক্ষ
কোরবান আলী তালুকদার:
ফুল, ফল, কাঠ, অক্সিজেন, ঠান্ডা পরিবেশসহ অনেক কিছুই আমরা পাই গাছ থেকে। গাছের উপকারিতা বলে শেষ করা যাবে না। অথচ গাছের সংখ্যা কমে যাওয়ায় আবহাওয়ার পরিবর্তন দেখা গেছে। গরমের সময় ঠাণ্ডা আর ঠাণ্ডার সময় গরম পড়ে। বিভিন্ন প্রজাতির ফসলের উৎপাদন কমছে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে। পরিবেশ ও প্রকৃতি বাঁচাতে গাছ লাগানোর বিকল্প নেই। এমন পরিস্থিতিতে দেশের মানুষকে গাছ লাগাতে উৎসাহিত করছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বিডি ক্লিন।
বিডি ক্লিন থেকে জানা যায়, ২০১৬ সালের জুন মাসের ৩ তারিখে “পরিচ্ছন্ন বাংলাদেশের স্বপ্ন” জয়ের লক্ষ্যে শুরু হয়েছিল বিডি ক্লিন এর অগ্রযাত্রা। সপ্তম বছরের পরিচ্ছন্ন পথচলায় বিডি ক্লিন এর সদস্য সংখ্যা ৪৪ হাজারেরও বেশি। সপ্তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্যে বিডি ক্লিন এর প্রত্যেক সদস্য রোপণ করছে ৭টি করে গাছ। সারা দেশে ৩ লাখ ৮ হাজার গাছের চারা রোপণ করেছে সংগঠনটি।
সংগঠনটি জানায়, সাধারণত কেক কেটে অথবা হৈচৈ মজা-মাস্তির মধ্য দিয়ে নিজ নিজ সংগঠনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করাটা এক রকম প্রথা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু আমরা তা করিনি। কারণ আমরা বিশ্বাস করি “জন্মদিন বা প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন কেক কেটে নয়, বরং এমন কিছু করে দেখাও, যা জাতির জন্য কল্যাণকর হয়” এই স্লোগানে প্রত্যেক সদস্য নিজ নিজ এলাকা বা আঙিনায় অথবা নিজের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে এমন স্থানে ৭টি করে গাছ লাগাবেন। শুধু তাই নয়, দেশি প্রজাতির ও ঔষধি এসব গাছের নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণও করবেন তারা। গাছগুলো হলো কাঁঠাল, জাম, জলপাই, লিচু, নিম, অর্জুন, বকুল, জারুল প্রভূতি।
সংগঠনটি আরো জানান, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় একটি দেশের মোট ভূখণ্ডের কমপক্ষে ২৫ শতাংশ বনভূমি থাকা দরকার। কিন্তু আছে মাত্র ১৪.১ (২০১৯ সালের বন জরিপ অনুযায়ী) শতাংশ। তাও আবার দিন দিন কমে যাচ্ছে। এমতাবস্থায় সবাইকে সচেতন হতে হবে। অন্যথায় প্রকৃতির পরিবর্তনে সবাইকে ভুগতে হবে। বৈশ্বিক উষ্ণতা কমাতে এই গাছগুলো কতটুকু প্রভাব ফেলতে সক্ষম হবে তা আমার জানা নেই। কিন্তু এটা জানা আছে যে, নিজ পরিচর্যায় এই গাছগুলোকে বড় করতে পারলে এই গাছই আমাকে ছায়া ও অক্সিজেন দিয়ে বাঁচিয়ে রাখতে মুখ্য ভুমিকা পালন করবে।
সংগঠনটি যত্রতত্র ময়লা ফেলার অভ্যাস পরিহার করে পরিচ্ছন্ন মানসিকতায় জীবাণুমুক্ত ও সবুজ বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে।