পাবনার বেড়ায় শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্ত্রীর নির্যাতন মামলা স্বামী মুন্না জেল হাজতে!
মোঃ রনি আহমেদ রাজু স্টাফ রিপোর্টার
পাবনার বেড়ায় শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্ত্রীর নির্যাতন মামলা, স্বামীর অভিযোগ ভিন্ন। মনিরুল ইসলাম মুন্না( ৪৫) বাড়ি বৃশালিখা গ্রামে তার বাবার নাম হাই মোল্লা পাবনার বেড়া উপজেলার জৎগনাথপুর হাটুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মনিরুল ইসলামে মুন্নার বিরুদ্ধে স্ত্রী নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে নানা অজুহাতে স্ত্রীকে নির্যাতন করে আসছিলেন তিনি। নির্যাতন সইতে না পেরে অবশেষে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল পাবনায মামলা করেছেন স্ত্রী।মামলা ও অভিযোগে জানা যায়,২০২০ সালের হাই মোল্লার ছেলে মুন্নার সাথে চাকলার রাকসা গ্রামের মোক্তারের মেয়ে জান্নাতুন ফেরদৌসি( ২২) বিয়ে হয় । বিয়ের পর তার নানা অপকর্ম কথা স্ক্রী জেনে ও সব সহ্য করে ভালই ই চলছিল তাদের দাম্পত্য জীবন। কিছুদিন পরেই শুরু হয় ৫ লাখ টাকার যৌতুক চেয়ে শারিরীক ও মানসিক নির্যাতন। এই নিয়ে বার বার সালিশ ও বৈঠক হয। পুরোপুরি সমাধান না হতেই।এরপর আবার যৌতুকের চাপ সৃষ্টি করেন ওই শিক্ষক। ২০২২ সালের মাসে জুলাই বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন স্ত্রী। আবারও মিমাংসা হয় । কিন্তু চলতি মাসে আবার শুরু করেন শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন। চলতি সপ্তাহে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ বিষয়টি মীমাংসা করেন। কিন্তু ৯ আগষ্ঠ যৌতুকের জন্য স্ত্রী জান্তাতী বানুকে আবার মারধর ও প্রাণে মেরে ফেলার চেষ্টা করেন । স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে। খবর দিলে তার বাবা তাকে চিকিৎসার জন্য নিজ বাড়িকে নিয়ে চিকিৎসা করে । পরে আদালতে মামলা করেন। মামলার পর থেকে স্বামী মনিরুল ইসলাম মুন্না টালবাহা করে সময় পার করে বলে জানা গেছে। নানা ভাবে আশ্বাস দিলেও কাজে বেলায় টাকা ছাড়া কথা নাই।
জান্নাতুন ফৌরদোসী জানান, কতোটা নির্যাতন হলে স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করে স্ত্রী। বিয়ের ২/৩ বছর ধরে যৌতুক লোভী স্বামীর নির্যাতন সয়ে আসছি। নিজে ও সন্তানের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে মুখ বুজে সয়ে এসেছি। কিন্তু এখন আর পারছি না। সর্বশেষ আমার ২ লক্ষ টাকা নিয়ে উল্টো আমার আত্বীয় নামে চুরি অপবাদ দিয়ে নির্যাতন চালায়। তাই উপায়ন্তর না পেয়ে বাধ্য হয়েই আদালতে মামলা করেছি। এখন মামলা তুলে নিতে বিভিন্নভাবে হুমকি প্রদান করছে সে। শুধু কি তাই সে এর পুর্বে বিবাহ করেছিল দক্ষিন পাড়া সে টা গোপন করেছিল তাকে নির্যাতন করে তারিয়ে দেয তার পরেও আমার স্বামী মুন্নার বিভিন্ন মেয়ের সাথে তার পরকিয়া রয়েছে।এ বিষয়ে মুন্নার বাবা জানান, ছেলের স্ত্রীর বিরুদ্ধে আমারও অভিযোগ রয়েছে। নারী নির্যাতন দেখা গেলেও পুরুষ নির্যাতনতো দেখা যায় না। যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে নির্যাতনের যে অভিযোগ তুলে তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। সে ঘটনা পুরোপুরি মিথ্যা-বানোয়াট। বরঞ্চ তাকে বিয়ে করার পর থেকে দিনের পর দিন পুরুষ নির্যাতনের শিকার হয়ে আসছে আমার সন্তান।মামলাটির তদন্ত দায়িত্বে রয়েছেন মডেল থানার পুলিশের এসআই । তিনি জানান, তাকে আটক করে জেলহাজতে প্রেরন করা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে এই মুহূর্তে কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে তদন্ত কার্যকম চলছে। বেড়া প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ,মোঃ কফিল উদ্দিন সরকার বলেন,একজন শিক্ষক এ ধরনের অপরাধ করা মোটেই ঠিক না তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।